কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর প্রশাসক আব্দুর রব খানের অপসারণ, একতরফাভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশন ও ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে রাজধানীর খামারবাড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কৃষিবিদরা। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে খামারবাড়ি সড়কে কেআইবি কমপ্লেক্সের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. কামরুজ্জামান কায়সার। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রশাসক একতরফাভাবে কেআইবির বিধি-বিধান উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এর দ্রুত নিষ্পত্তি না হলে সারাদেশের কৃষিবিদদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।”
সমাবেশে যুগ্ম আহ্বায়ক-১ কৃষিবিদ শাহাদত হোসেন চঞ্চল বলেন, “ফ্যাসিস্ট ও মৌলবাদী সংগঠনের কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এটি কৃষিবিদ সমাজকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা। কমিশন বাতিল না করা হলে প্রশাসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।”
যুগ্ম আহ্বায়ক-২ প্রফেসর আবুল বাশার বলেন, “কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন একটি সম্মানিত জাতীয় পেশাজীবী সংগঠন। প্রশাসকের দায়িত্ব হলো সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, বিভক্ত করা নয়। সিনিয়র কৃষিবিদদের মতামত ছাড়াই তিনি যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা কেআইবির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। আমরা চাই স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।”
যুগ্ম আহ্বায়ক-৩ ড. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “কেআইবির নির্বাচনী প্রক্রিয়া সবসময়ই ছিল স্বচ্ছ ও ঐক্যমূলক। কিন্তু বর্তমান প্রশাসক তা ভেঙে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনৈতিক ও একতরফা। এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত কোনো নেতৃত্বই কৃষিবিদদের প্রতিনিধিত্ব করবে না।”
সদস্য সচিব কৃষিবিদ শাহাদত হোসেন বিপ্লব বলেন, “প্রশাসক সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই নিজের ইচ্ছামতো নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এতে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে, যা প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। আমরা প্রশাসকের পদত্যাগ এবং কমিশন বাতিল দাবি করছি।”
দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সদস্য প্রফেসর জমশেদ আলম বলেন, “কেআইবির ঐতিহ্য ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রশাসকের একতরফা সিদ্ধান্ত সংগঠনকে সংকটে ফেলেছে। নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে সিনিয়র কৃষিবিদদের সমন্বয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।”
সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ কৃষিবিদরা খামারবাড়ির বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ আকিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ডন, নুরে আলম সিদ্দিকী তুহিন, মাহবুবুর রশিদ, ড. আব্দুর রাজ্জাক,আনোয়ারুল হক বাবু,কামরুজ্জামান জনি, এ.কে.এম. আনিসুজ্জামান আনিস, নাসির উদ্দিন মাহমুদ মিল্টন, মুসা তালুকদার চমক,জোনায়েদ আন নুর টিটু, আমির ফয়সাল,লুতফর রহমান মৃদুল, মোজাম্মেল খান সোহেল, হারুন-অর-রশিদ, নজরুল ইসলাম, বায়েজিদ আন-নুর আরজু,মোকসেদুল মোমিন মিথুন, সাজ্জাদ হোসাইন,আমানুল্লাহ আমান,গুলজার আহমেদ,প্রফেসর মাহবুব ইসলাম, প্রফেসর জসীম উদ্দীন, শাহাদাৎ হোসাইন পারভেজ,সোহরাব হোসাইন সুজন, সাইদুজ্জামান মানিক, আসাদুজ্জামান আসাদ,কে.আই.এফ. সবুর,ফয়সাল আহমেদ, সানোয়ার আলম, শফিকুর রহমান নোবেল, রবিউল আলম, নিয়াজ মোর্শেদ আদনান, মতিউর রহমান শিমুল, আসলাম ফকির লিটন,নাহিয়ান নিনাদ, রুহুল আমিন,আবু হানিফ, , আহসান হাবিব, নাজমুল হোসাইন, নাজিম-উর-রউফ বনি, শাহরিয়ার জামান রনি, হাফিজ মো. লুতফল সাদেক, হাবিবুর রহমান বাবু, রিদুয়ান রিশাদ, মানসুর রহমান, ইব্রাহিম রেফাই, রশিদ গোলাপ, মনির হোসাইন, জিয়াউর রহমান রেফি, এইচ.এম.এস. রহমান খালিদ, হাবিবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল রাহাতসহ কয়েক হাজার কৃষিবিদ।
সংবাদ লাইভ/ রাজনীতি
নিউজের জন্য: news.sangbadlive24@gmail.com