নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, গতি ও দক্ষতা বৃদ্ধির পথে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত অত্যাধুনিক এই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি দপ্তরে এই কার্যক্রম শুরু হলেও, পর্যায়ক্রমে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দপ্তরে চালু করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, অ্যাটেনডেন্সে ডিজিটাল সিস্টেম চালুর ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রত্যেকে যেন নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে তিনি কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠা বাড়াতে ‘রিওয়ার্ড সিস্টেম’ চালুর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, যারা নিয়মিত ও সময়মতো অফিসে উপস্থিত থাকবেন, তাদের জন্য আমরা রিওয়ার্ড সিস্টেম চালু করব। ডিজিটাল হাজিরার রেকর্ডের ভিত্তিতে ডেডিকেশন ও পারফর্মেন্স অনুযায়ী ‘বেস্ট পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে নোবিপ্রবি প্রশাসন একটি ‘পেপারলেস ওয়ার্কপ্লেস’ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এতে কাজের স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও দক্ষতা বাড়বে।
উপাচার্য বিশ্বাস করেন, আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার বিস্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাঁর ভাষায়, বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান কতটা ডিজিটাল, পেপারলেস ও পরিবেশবান্ধব, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড।
তিনি আরও বলেন, ডি-নথি ব্যবস্থায় আমাদের আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। ফাইলের ব্যবহার কমিয়ে যত বেশি ডিজিটালাইজড হতে পারব, আমাদের কাজের গতি তত বাড়বে। আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণে আমাদের আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে আপাতত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার দপ্তরের ব্যক্তিগত শাখা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নিচ্ছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ, প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ তামজিদ হোছাইন চৌধুরীসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উপসংহারে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে র্যাঙ্কিংসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নোবিপ্রবি আরও এগিয়ে যাবে।


