গাজীপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে টানা তিন দিন ধর্ষণের অভিযোগে হিন্দু যুবক জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে উঠা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা গতকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মাগরিবের নামাজের পর কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হওয়া মিছিলে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের প্রাঙ্গণে এসে সমাবেশ করে। মিছিলে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জীবনে, ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা চিত্রিত সংক্ষিপ্ত সংকেত হিসেবে নানা ধ্বনি ও স্লোগান দেন—নারা তাবরী ও “আল্লাহু আকবার” ছাড়াও তারা প্রতিবাদী স্লোগান দেন, যেমন: “আমার বোন ধর্ষিত কেন — জবাব চাই, জবাব চাই”, “ইন্টারিম, জবাব দে — আমার বোন ধর্ষিত কেন” ও “ফাঁসি, ফাঁসি চাই — ধর্ষকদের ফাঁসি চাই”।
বিক্ষোভের সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রমজান বলেন, “আমরা হিন্দু-মুসলিম—সবাই সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এটা যদি মুসলমানদের দুর্বলতা মনে করা হয়, তাহলে ভুল ভাবছেন। মুসলমান সব সময় সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে; আপনারা অন্যায়ের কাছে চুপ করে থাকব এভাবে ভুল ভাববেন না।”
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু দারদা বলেন, “একজন ধর্ষিত বোনের পক্ষে তারা কোনো কথা বলতে পারেনি। কিন্তু আমরা দেখেছি, এদেশের কয়েক জন আলেমকে নারী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। নারী ধর্ষণের অভিযোগে আল্লামা মামুনুল হককে এক দিনের ব্যবধানে গ্রেফতার করা হয়েছে—যে আইন দিয়ে আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা যায়, যে আইন দিয়ে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায়, সেই আইন দিয়ে এই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করা যায় না? আপনাদের কি দেখাতে চান? জাতি আজকে জানতে চায়। এই জায়গা থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই—খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জয়কে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলাতে হবে। শুধু জয় নয়, বাংলাদেশের প্রত্যেক দুর্বৃত্তকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানো হবে। আমাদের প্রত্যেক বোনকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যদি নিরাপত্তা না দেয়া হয়, সমগ্র বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা এর জবাব আদায় করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ।”