ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন ৫০০ জন মানবাধিকারকর্মী।
তবে ইসরায়েল তাদের গাজার দিকে যেতে দেয়নি। গতকাল রাতে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা এসব জাহাজ আটক করতে শুরু করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গাজার কাছে পৌঁছানোর আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, জাহাজ আটক করার সময় কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি।
বিবৃতিতে ইসরায়েলি মন্ত্রণালয় এই ফ্লোটিলাকে হামাসের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে অভিহিত করে উল্লেখ করেছে,
“হামাস-ফ্লোটিলার উস্কানিমূলক জাহাজ সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা নৌ অবরোধ ভাঙতে সক্ষম হয়নি। জাহাজের সব যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। তারা নিরাপদে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন এবং সেখান থেকে ইউরোপে পাঠানো হবে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি জাহাজ এখনও সমুদ্রে অবস্থান করছে। এটি কারিগরি ত্রুটির কারণে সমুদ্রে রয়েছে এবং গাজার কাছে পৌঁছায়নি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি এটি গাজার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আটক করা হবে।
ফ্লোটিলার আয়োজকরা দাবি করেছিলেন, একটি জাহাজ গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, লাইভ ট্রেকারের ত্রুটির কারণে জাহাজটিকে গাজার জলসীমায় দেখানো হয়েছিল। বাস্তবে এটি গাজার কাছে যায়নি। তবে এ দাবি যাচাই করা যায়নি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আয়োজকদের বরাতে, ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা এখন পর্যন্ত ৩৯টি জাহাজ আটক করেছে। তবু একটি জাহাজ এখনও গাজার দিকে এগোচ্ছে।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা ছিলেন। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
ফ্লোটিলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌবাহিনীর অবরোধের কারণে গাজায় ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল