বাংলাদেশে টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন ও ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে “ইনটেস্টাইনাল ইনফ্লেমেশন সামিট–ঢাকা” অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৫ সালের ১৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লে মেরিডিয়ান-এ আয়োজিত এ সম্মেলনে শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিদ ও পোল্ট্রি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়ে অন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যা মোকাবিলায় উদ্ভাবনী সমাধানের ওপর জোর দেন।
ইনোভাড®—একটি বিশ্বখ্যাত অ্যানিমেল হেলথ সল্যুশন কোম্পানি—এবং দেশের পোল্ট্রি ও লাইভস্টক সেক্টরে অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান প্ল্যানেট ফার্মা লিমিটেড যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে গবেষক, পোল্ট্রি কনসালট্যান্ট, ফিড মিলার ও প্রগতিশীল কৃষকরা অংশ নেন। বক্তারা উল্লেখ করেন, অন্ত্রের প্রদাহ পোল্ট্রি খামারে নীরব ক্ষতির অন্যতম কারণ, যা উৎপাদন দক্ষতা ও লাভজনকতা কমিয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইনোভাড গ্রুপের এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস ডিরেক্টর মি. রবার্ট নিকোল।
অতিথি অভ্যর্থনা বক্তব্যে প্ল্যানেট ফার্মা লিমিটেডের পরিচালক মি. শাহ ফাহাদ হাবিব বলেন,
“বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পকে আমরা উদ্ভাবনী, অবশিষ্ট-মুক্ত ও বৈজ্ঞানিক সমাধান দিয়ে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য—ফার্ম থেকে টেবিল পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য নিরাপদ প্রোটিন নিশ্চিত করা।”
প্রযুক্তিগত সেশনগুলোতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা তাদের গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা ও বাস্তব প্রয়োগ উপস্থাপন করেন।
ইনোভাড®-এর সিনিয়র কনসালট্যান্ট মি. গ্রেগরি হারগ্রিভ বলেন,
“অন্ত্রের সুস্থতা শুরু হয় সঠিক ফিড কোয়ালিটি ও প্রোসেসিং থেকে। গাট ইন্টেগ্রিটি উপেক্ষা করলে, তা পাখির কর্মক্ষমতা ও খামারের লাভ—উভয়ের ক্ষতি ডেকে আনে।”
ইনোভাড® এশিয়া প্যাসিফিকের রিজিওনাল টেকনিক্যাল ম্যানেজার মি. মিকেল মুচ্চিও বলেন,
“মাইকোটক্সিন নীরবে অন্ত্রের কোষ ক্ষতি করে, ইমিউনিটি দুর্বল করে এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়। সফলতার শুরু হয় ভালো মাইকোটক্সিন কন্ট্রোল দিয়ে।”
ইনোভাড® গ্লোবাল পোল্ট্রি টেকনিক্যাল ম্যানেজার ড. ফার্নান্দো লিমা বলেন,
“সাব-ক্লিনিক্যাল ইনফ্লেমেশন এক নীরব শত্রু। নির্দিষ্ট অ্যাডিটিভ সমাধান ব্যবহার করলে বড় রোগের আগেই প্রতিরোধ সম্ভব।”
এছাড়া ড. মোহাম্মদ শাহরিয়ার হক, ম্যানেজার (টেকনিক্যাল ও সেলস), মাঠ পর্যায়ের তথ্য ও ট্রায়াল ডেটার ভিত্তিতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বাস্তব প্রভাব উপস্থাপন করেন। তাঁর উপস্থাপনায় দেখা যায়, এসব সমাধান পোল্ট্রির উৎপাদন দক্ষতা, খাদ্য ব্যবহারের কার্যকারিতা ও রোগ প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
অতিথিরা পোল্ট্রি সেক্টরের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন একটি জ্ঞানভিত্তিক আয়োজন করার জন্য প্ল্যানেট ফার্মাকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, “স্মার্ট গাট হেলথ ম্যানেজমেন্টই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও টেকসই মুনাফার মূল চাবিকাঠি।”
এ আয়োজনের মাধ্যমে শিল্প সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। সবাই “ফার্ম টু টেবিল” নিরাপদ প্রোটিন সরবরাহে ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অ্যানিমেল হেলথ ও নিউট্রিশন সেক্টরে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্ল্যানেট ফার্মা ক্রমাগত উদ্ভাবনী ও বিশ্বস্বীকৃত সমাধান নিয়ে কাজ করছে—যার মাধ্যমে পোল্ট্রি উৎপাদনের দক্ষতা বাড়ানো, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো এবং ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।


