বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরে আদিবাসীদের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিসহ ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।
রোববার (১৫ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বগুড়া প্রেস ক্লাবে এ সম্মেলন করা হয়। এসময় লিখিত বক্তব্যে শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরে সংঘ্যালঘু আদিবাসীদের উপর হামলার ঘটনায় চার দফা দাবি ও ২টি কর্মসূচীর ঘোষণা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ৪টি দফার মধ্যে রয়েছে-
১। অবিলম্বে হামলাকারী অপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচার কর।
২। অবিলম্বে আহতদের চিকিৎসা ব্যয়সহ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত কর।
৩। ভুক্তভোগী আদিবাসীদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের নিশ্চয়তা, যান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।
৪। সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথম মন্ত্রনালয় ও ভূমিকমিশন গঠন কর।
এসব দাবির বাস্তবায়ন না হলে ২টি কর্মসূচীর ঘোষণাও দিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। সেসব কর্মসূচী হলো- আগামী ১৮ জানুয়ারি বগুড়া শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিস ঘেরাও এবং ২৪ জানুয়ারি সাতমাথায় প্রতিবাদ সমাবেশের করবে সংগঠনটি।
এদিন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন স্বাক্ষরিত এক লিখিত বক্তব্যে এসব জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গেল ৮ জানুয়ারি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরে পৈত্রিক জমি দখলকে কেন্দ্র করে আদিবাসীদের উপর হামলা চালায় স্থানীয় ভূমিদস্যুরা। এসময় নারী-শিশুসহ বেশকয়েক গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনার দু’দিন পর ১০ জানুয়ারি আদিবাসী ও অভিযুক্তদের অংশগ্রহনে বিষয়টি সমাঝোতার চেষ্টা করে শেরপুর উপজেলা প্রসাশন। তবে এর একদিন পর আবারও মাইকে ঘোষণা দিয়ে আদিবাসীদের উপর হামলা চালায় স্থানীয় ভূমিদস্যুরা।
আদিবাসীদের উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুতই গ্রেফতার ও বিচার দাবি জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।


