পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এক প্রশ্নপত্রেই ৬১টি ভুল করা হয়েছে।
রবিবার (৮ইঅক্টোবর) কলেজটির একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের আইসিটি পরীক্ষা ছিল। উক্ত পরীক্ষার ৫০নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে প্রথম পৃষ্ঠায়ই বানান ভুলের সংখ্যা ২৫টি এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ১৫টি। এছাড়া বিরামচিহ্নের ভুল প্রয়োগ এবং শব্দের ভুল লিখন অর্থাৎ কখনো দুটি শব্দের মাঝে অযাতিত সংযোজন এবং কখনো আবার যে শব্দ বা শব্দাংশ একসাথে বসার কথা; এর মাঝে স্পেস দিয়ে ভুল ঘটানোর সংখ্যা এবং অসমীচীনভাবে কখনো শব্দের মাঝে আবার কখনো শব্দের শুরুতে হসন্ত প্রয়োগের মতো ভুলের সংখ্যা প্রথম পৃষ্ঠায় ১০টি এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ১১টি।
প্রশ্নপত্রের ৩নং প্রশ্নে উক্ত কলেজটির নাম দিয়ে একটি উদ্দীপক তৈরি করা হয়। উদ্দীপকেও ভুল করা হয়েছে কলেজের নাম।
ভুলের মধ্যে অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণের ভুল চয়ন এবং ণত্ববিধান ও ষত্ববিধান এর অসংখ্য ভুল রয়েছে। অনেক বানানে ঋ-কারের জায়গায় ঊ-কারও দেখা যায়। এছাড়া কিছু কিছু শব্দে বিসর্গ চয়নের কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য ‘কৃত্রিম’ না লিখে ‘কূত্রিম’, ‘বুদ্ধিমত্তা’ না লিখে ‘বুদ্দিমত্তা্’, ‘বলা’ না লিখে ‘বল’, ‘জ্ঞান’ না লিখে ‘জআন’, ‘স্বপক্ষে’ না লিখে ‘সপক্ষে’ এবং ‘দ্বিতীয়’ না লিখে ‘দিত্বীয়’ ছাড়াও ভুলে ভরা পুরো প্রশ্ন। এগুলো গুণে দেখা যায়, ভুলের পরিমাণ ৬১তে ওঠেছে।
এই ব্যাপারে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ব্যাপারে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ মোহসীন কবির বলেন, এটি খুব সম্ভবত ভুল করে এমন হয়েছে, বাই মিসটেক হতে পারে। নতুন শিক্ষক এসেছে তো। আইসিটি যারা পড়ে তারা বাংলা বানানে একটু দুর্বল থাকে। এ বিষয়ে আমি পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে কথা বলব। ঠিক কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমি দেখছি।’পরবর্তী ব্যবস্থা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি খুব দ্রুতই অ্যাকশনে যাবো। এখানে কার খামখেয়ালি বা ভুল ছিল তা খুঁজে বের করব। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


