ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম: অনেকেই মনে করে, বাদামী ডিম স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিগুণ বেশি। অবার কেউ কেউ মনে করে সাদা ডিম বেশি ভালো। এটি তাঁদের একটি ভ্রান্ত্র ধারণা। আসলে পুষ্টিতে দুটি ডিমই সেরা। কেবল মাত্র ডিমের খোসার কারণে পুষ্টিতে কোন রকম ভিন্নতা হয় না।
ডিমের খোসার রঙের ভিন্নতা কেন হয়?
বিভিন্ন রঙের হতে পারে মুরগির ডিম। তবে বাদামি আর সাদা ডিমটাই বেশি পাওয়া যায়। ডিমের খোসার রং সাধারণত নির্ভর করে মুরগীর জাত বা প্রজাতির উপর।
বাদামী এবং সাদা ডিমের পার্থক্য কেন হয়?
বাদামী এবং সাদা ডিমের মধ্যে কোন স্বাদ বা পুষ্টির পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধুমাত্র খোসার রঙে। বাদামী ডিমের খোসার মধ্যে একটি পিগমেন্ট থাকে যা সাদা ডিমে থাকে না। বৈজ্ঞানিকভাবে বাদামী এবং সাদা ডিমের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, তবে মুরগির জাত, খাবারের ধরন এবং বাদামী ডিমের স্বাদ সাদা ডিমের থেকে আলাদা হতে পারে। ওজন যদি একই থাকে, দুটি জাতের মুরগীকে একই খাদ্য খাওয়ানো হয় সেক্ষেত্রে বাদামী এবং সাদা উভয় ডিমই আপনাকে একই পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহ করবে।
সাদা ও বাদামী ডিমের দামের ভিন্নতার কারণ?
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাদা ডিমের তুলনায় বাদামী ডিমের দাম একটু বেশি হয় কারণ সাদা ডিমের তুলনায় বাদামী ডিম বড় আকারের হয়ে থাকে। তবে কেউ যদি মনে করে একই সাইজের সাদা ও বাদামী ডিমের মধ্যে পুষ্টিগুণ বেশি আছে এটা মনে করে বাদামী ডিম কিনে সে মূলত ভুল করলো। তবে হ্যাঁ প্রতিটি জিনিসের ক্ষেত্রেই রং এর কারণে দামের পার্থক্য হয়, ডিমের ক্ষেত্রেও সেটি হচ্ছে। বাদামী তথা রঙিণ জিনিস বেশি মানুষ পছন্দ করে, এটির চাহিদা বেশি থাকে। আর এ কারণে বাদামী খোসাযুক্ত ডিমের দাম কিছুটা বেশি থাকে। তবে আবারও বলছি, কেউ যদি পুষ্টি বেশি থাকে এটা মনে করে বাদামী খোসাযুক্ত ডিম কিনলো সে আসলে ভুল জেনেই কাজটি করলো, নিজে থেকেই ঠকে গেল।
লেখক: প্রফেসর, পশুপুষ্টি বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।


