বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশে চালু রয়েছে মোট ১০টি সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো—এতগুলো প্রতিষ্ঠানে এখনও পর্যন্ত একসঙ্গে ১৮ জন টেক্সটাইল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, কলেজগুলোতে শিক্ষক নিয়োগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যেন ফকিরকে দানের মতো করে অল্প কিছু শিক্ষক পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে মন্ত্রণালয়। নেই কোনো সুসংগঠিত পরিকল্পনা, নেই পেশাগত মান উন্নয়নের কার্যকর পদক্ষেপ।
এক শিক্ষার্থী বলেন,”আমার মনে হয়, সব ১০টি কলেজ মিলিয়েও এখন টেক্সটাইল ব্যাকগ্রাউন্ডের ১৮ জন পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক পাওয়া যাবে না। এটা কি আমাদের উচ্চশিক্ষার মানের প্রতিফলন?”
অন্যদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)-এ একসঙ্গে ১৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে পরিষ্কার—বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আন্দোলন ও সচেতনতার কারণে অগ্রগতি হয়, অথচ কলেজগুলো যেন আজও মৌন ও অবহেলিত।
শিক্ষাবিদদের মতে, একই ধরণের টেক্সটাইল ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এমন বৈষম্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতার প্রতিফলন। শিক্ষক সংকটে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা—ব্যাহত হচ্ছে ক্লাস, দেরি হচ্ছে কোর্স সম্পন্ন করতে, বাড়ছে মানসিক চাপ ও হতাশা।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেন, “এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশের টেক্সটাইল শিক্ষা কাঠামো ভেঙে পড়বে। যার মারাত্মক প্রভাব পড়বে রপ্তানিনির্ভর গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে।”
শিক্ষার্থীরা এখন আশাবাদী, দ্রুত সময়ের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় শিক্ষক নিয়োগে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে।


