রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহিড়ীরহাটে গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পারিবারিক বৈঠকে যুবলীগ কর্মী রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাব্বীকে গ্রেফতার করেছে সদর কোতয়ালী থানা পুলিশ। রেজাউল হত্যায় অভিযুক্ত আসামী রাব্বী রেজাউলের চাচাতো ভাই।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার, এএসপি সার্কেল ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত আবু বক্কর সিদ্দিক এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এস আই রেজাউল করিমসহ পুলিশের একটি চৌকষ টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে টানা ৩৬ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার দিনগত রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে পলাতক আসামি গোলাম রব্বানী ওরফে রাব্বীকে গ্রেফতার করা করেন। রাব্বীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
মামলার বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার সরকার জানান, বিরোধপূর্ন জমি নিয়ে গত ৮ সেপ্টম্বর শুক্রবার বিকেলে আলোচনায় বসেন রেজাউলসহ তার চাচাতো ভাই রাব্বী মিয়াসহ অন্যরা। এ সময় রেজাউলের সঙ্গে রাব্বীর বাবার সাথে কথা কাটাকাটির । একপর্যায়ে রাব্বী ধারালো রামদা দিয়ে সজোরে রেজাউলের মাথায় কোপ দেয়। পরিবারের লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেজাউলকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেজাউল মারা যায়।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে মেহেদী হাসান নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয় সেদিন এই। নিহতের ছোট ভাই মুন্না বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৭ তারিখ ০৯/০৯/২০২৩। এরমধ্যে গ্রেফতার হওয়া রাব্বী ছিল এক নম্বর মার্ডার করা আসামী। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে, যুবলীগ কর্মী রেজাউল করিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার হওয়ায় রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির এবং জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান শাহীন আওয়ামী লীগের কর্মচারীবৃন্দ পুলিশ প্রশাসকে ধন্যবাদ জানান এবং বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।


