বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনের সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (এমএমসি) নিয়ে এলে রাত আড়াইটায় ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেবদারু সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে আব্দুল জব্বার মোড় যাচ্ছিলো ইফতি ও তার বন্ধুরা। যাওয়ার পথটিতে টিএসসি সামনে সড়ক সংস্কার কাজ চলছে। এখানে কোনো সতর্কতামূলক বাঁধা না থাকায় উচ্চ গতিতে আসা মোটরসাইকেলটি ভাঙা সড়কের গর্তে পড়ে যায়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যায় ইফতি আর তার বন্ধু হাসিব (বাকৃবির শিক্ষার্থী)। গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশের সহযোগিতায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার রাত আড়াইটায় দিকে ইফতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সড়ক অবরোধ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইফতির মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাকে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা মেরামতের স্থানে কোনো সতর্ক সংকেত, রোড ডিভাইডার বা অন্য কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা স্থাপন করা ছিলনা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকৃবি উপাচার্য স্বল্প সময় উপস্থিত ছিলেন। তারপরেও হাসপাতাল প্রশাসন দায়সারাভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়েছে। পরবর্তীতে লাশ নিয়ে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাহায্য চাইলে তিনি বলেন, এর আগে আমিও একবার অনেক ঝামেলা করে লাশ নিয়ে এসেছি। তোমরা ওখানকার কিছু ছাত্রনেতাদের সাহায্য নিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন। পরবর্তীতে আর ফোন ধরেননি। বাকৃবিতে অবস্থিত ক্যাম্পাস পুলিশ বাহিনীর এএসআই ( আর্মড ব্যাটালিয়ন ) মো. মকবুল হোসেন বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দ হওয়ায় আমরা সবাই ছাত্র -শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের দিকে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি সেখানে দুজন বাইক সহ পড়ে আছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও এখানে ছুটে আসে । তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নিহত শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতি ওয়াপদার কেওয়াটাখালি মধ্যপাড়ায় পরিবারের সাথে থাকতেন। তিনি দিনাজপুর জেলার কমলাপুরের বাসিন্দা। তার বাবা মো. রিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
সংবাদ লাইভ/ এবি
www.sangbadlive24.com এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও সবকিছুই আমাদের নিজস্ব। বিনা অনুমতিতে এই নিউজ পোর্টালের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যে কোন বিষয়ে নিউজ/ফিচার/ছবি/ভিডিও পাঠান news.sangbadlive24@gmail.com এই ইমেইলে।


