নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) এপ্লায়েড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইউসুফ মিঞা। পরিবেশের সুরক্ষার জন্য ‘Environmental Pollution course’ এর ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বর্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর কথা বলেছেন তিনি।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ নিয়ে একটি লেখা পোস্টও করেছেন তিনি। লেখাটি হুবুহু তুলে ধরা হলো: বর্ষাকালে গাছ লাগানো উপযুক্ত সময়। শহরের বাড়ির আঙিনায়, ছাদে-সিঁড়িতে, গ্রামের বাড়িতে সাড়া বাড়ীর বিভিন্ন পয়েন্টে গাছ লাগান। ভূ পৃষ্ট উত্তপ্ত হয়ে দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে অসম্ভব গরম আমাদের জীবন দূর্বিষহ করে তুলছে। তাছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, সাইক্লোন, হারিকেন, সুনামির মতো ভয়াবহ অবস্থার স্বীকার হচ্ছে ধরণীর মানুষ। ব্যাপক সম্পদের ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া শিল্প কারখানা ও যানবাহনে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়াম জ্বালানির ইনকমপ্লিট কম্বাশন থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস যেমন কার্বনের অক্সাইডস, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে বাতাসকে দূষিত করছে। তাছাড়াও বাসা বাড়ীর মিউনিসিপ্যাল ও অপরিকল্পিতভাবে কৃষি উৎস থেকে নির্গত হাইড্রোকার্বন, ডাস্ট, পার্টিকুলেট মেটেরিয়েলের মাত্রাতিরিক্ত উপাদানসমূহ বায়ুদূষণ করেই যাচ্ছে। তাহলে তো এ ধরিত্রীকূলে বসবাস করাই প্রতিকুল হয়ে পড়বে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের পরিবেশকে সুস্থ ভাবে বাঁচার উপযোগী করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে বেশী গাছ লাগানোর মাধ্যমেই আমরা পৃথিবীর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারি।
তাছাড়া নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত:
১) সবুজায়ন এলাকার পরিমান বাড়াতে হবে।কারণ গাছ আমাদের অক্সিজেন সাপ্লাই করে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষন করে। গাছ আমাদের ছায়া দেয় খাবার দেয় আশ্রয় দেয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সেইসাথে প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা করে। প্রকৃতির লু হাওয়াকে বিতাড়িত করে বৃষ্টি ঝরিয়ে শীতল হাওয়া বয়ে আনে। জীবনকে শান্তি- স্বস্তি দায়ক করে।
২) কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে সেজন্য পরিকল্পিত ভাবে শিল্প এলাকা নির্ধারন করে শিল্লের বিকাশ করতে হবে। যেমন ইপিজেড প্রকল্প ও শিল্প নগরী ঘোষণা করে নির্ধারিত জমিতে শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হবে। সরকার কিছুটা এগিয়ে এসেছেন।
৩) জনসাধারণ কে সচেতন করতে হবে সেক্ষেত্রে মিডিয়া বড় ভমিকা রাখতে পারে।
৪) আগামী পাঁচ বছর অযথা আমাদের গাছ কাটা থেকে নিরুৎসাহিত করতে হবে প্রয়োজনে আইন করে।
৫) গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে বিশুদ্ধ পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ব্যবহার করে দূষনের মাত্রা রোধ করা যেতে পারে।
৬) ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে নির্ধারিত বিনে ফেলতে হবে ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরিস্কার করতে হবে।
৭) ময়লা আবর্জনাকে কম্পোস্ট সার তৈরী করে অথবা ফুয়েল তৈরী করে জ্বালানি সরবরাহ করত পরিবশকে সুন্দর করা যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে এ ধরিত্রীকে দুষণ থেকে বাঁচাতে হবে আমাদেরই। আসুন আমরা সবাই সচেতন হয়ে পরিবেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসি। তিনি আরো লেখেন, আমি আমার ছাত্র ছাত্রীদের Environmental Pollution course পড়াতে ক্লাসে বলেছিলাম তোমাদের সবাইকে এই বর্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি চারাগাছ লাগাতে হবে। আমি কিন্তু আমার বনশ্রীর বাড়ীর আঙ্গিনা ও ছাদে মাধবীলতা, জবা, বকুল ও আমার স্ত্রী রুমু ড্রাগন চারা রোপণ করেছে। আমাদের বাড়ীর ভিতর বাহিরের কিছু গাছ। হে সরকার কিন্তু ছাদ বাগান করলে ফ্ল্যাট ট্যাক্স ১০% রেয়াত ঘোষণা করেছে।


