বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করে আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০ টা নাগাদ ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। উক্ত ঘটনায় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফাহাদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় স্থানীয় কিছু ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে দেখে বাধা দেন তারা। এরপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ,তারপর খেলা বন্ধ করে তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে ছেলেরা চলে যায়। পরবর্তীতে দুপুর দেড়টা নাগাদ তারা প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন একসাথে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসে লাঠি, রড নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীরা সংখ্যায় কম থাকায় তারা তখন অডিটোরিয়াম এর ভিতরে অবস্থান নেয়।
পরে ক্যাম্পাসে ১৫ আগস্ট শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আসা ২-৩ জন অতিথির উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এতে একজন অতিথি হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাছাড়া সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদের চেয়ার এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে ছুটে আসে এবং বিক্ষোভ করে।
তিনি আরো জানান,ক্যাম্পাসের পাশের এই রাস্তায় নিয়মিত শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। স্থানীয়দের এখানে দিনের বেলা ক্রিকেট বা ফুটবল খেলায় চলাচলে সমস্যা হয় তাদের। তাছাড়া তাদের ক্রিকেট বলের আঘাতে নতুন ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে যাবার খবরও পাওয়া গেছে। এছাড়াও রাতের বেলা বখাটেরা এখানে মাদক সেবন করার অভিযোগও এসেছে । সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই রাস্তায় নিরাপদে চলাচল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সামনে আজকের এই ঘটনা ঘটার পরেও কোনো ধরনের কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় এক শিক্ষার্থী এ নিয়ে অভিযোগ করেছে। তিনি আরো জানান,ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সাধারন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। তাদের দাবি অনেকদিন ধরে স্থানীয়রা এই রাস্তা দখল করে সাধারণ চলাফেরা ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। রাতের বেলা মাদকসেবিদের আড্ডাখানায় পরিনত হয়েছে এই রাস্তা। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে কঠোর দাবি জানিয়েছে।
একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান এবং ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক ড. রিয়াজুল ইসলাম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ জয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উপাচার্যের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা।


