আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং ২০২৩ এ বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সারা বিশ্বের ২২ হাজার ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৫৯ বিজ্ঞানী ও গবেষক এই র্যাংকিংয়ে জায়গা পেয়েছেন।তালিকায় বাংলাদেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯ হাজার ২৬২ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক জায়গা পেয়েছেন।
মূলত বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের গত ৬ বছরের গবেষণার এইচ-ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে এডি সায়েন্টিফিক।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রথম এবং সারাদেশে ৩৪তম হয়েছেন। তিনি জবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক ও দেশসেরা পদার্থবিজ্ঞানী; তিনি পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আবিষ্কার করে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
বশেফমুবিপ্রবি থেকে ১৩ জন শিক্ষক তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। বশেফমুবিপ্রবিতে প্রথম হয়েছেন গবেষণা সেলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হাছান। ব্যাঙের ডাক ও ডিএনএ বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এই উভচর প্রাণীটির নতুন চারটি প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন । এছাড়া যমুনা নদীর রুই মাছের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স ( জীবন রহস্য উন্মোচন) করেছেন এবং হরাইজন্টাল জিন ট্রান্সফার নিয়ে কাজ করেছেন।
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু নঈম শেখ সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “ড. হাছান দেশের সম্পদ। তাঁর নেতৃত্বে গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “অত্যন্ত নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিজ্ঞানী, ৪৬জন শিক্ষকের ১জন বিজ্ঞানী এবং ১২ জন বিশ্বসেরা গবেষকের স্বীকৃতি পেয়েছেন।এটা বেশ ভালো সংবাদ।”
তিনি আরো বলেন, “ড. মাহমুদুল হাছান জাপানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে ফিরে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। তাঁর গবেষণা কাজ শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রভাব আছে। তাঁর এই মৎস্যবিষয়ক মলিকুলার গবেষণা সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এমনটা আশা করছি।”
তালিকায় ইইই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম, প্রভাষক (পদার্থবিদ্যা) সুজন কুমার মিত্র, গণিত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রিপন রায়, ফিশারিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সৈয়দ আরিফুল হক ও মো. সাইফুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির, ফিশারিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. ফখরুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ হাসান, গণিত বিভগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শাহজালাল, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নাজমুল হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রাশেদুল ইসলাম ও ফিশারিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সুমিত কুমার পালের নামও রয়েছে।


