বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডকে (বিইপিসিএল) ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটির ওপর এক হাজার ২৩ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার ৬১৮ টাকার কর মওকুফ করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও স্ট্যাম্প প্রশাসন শাখা থেকে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই ছাড় দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি খাতে বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডকে (বিইপিসিএল) ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটির ওপর এক হাজার ২৩ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার ৬১৮ টাকার কর মওকুফ করেছে সরকার।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই কম্পানির স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফের জন্য কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের মাধ্যমে বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কম্পানি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের কাছে অনুরোধ করে। জাতীয় স্বার্থে এবং ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এই অনুরোধ করা হয়। এর আগে অন্য কম্পানির জন্যও এমন অনুরোধ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এসব অনুরোধে সাড়াও দেয় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। কারণ ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইন মানলে ওই সব কম্পানিকে শত শত কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে দিতে হতো।
এমন প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালে স্ট্যাম্প আইন সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর স্ট্যাম্প ডিউটি যা-ই আরোপযোগ্য হোক না কেন, এর পরিমাণ কোনোভাবেই ১০ কোটি টাকার বেশি হবে না। গত ১ জুলাই থেকে নতুন সংশোধনী কার্যকর করা হয়। কিন্তু বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কম্পানি আবেদনটি কয়েক বছর আগে করায় সেভাবেই বিভিন্ন পর্যায়ে তা অনুমোদন হয়। তাই এখন প্রজ্ঞাপনেও ওই এক হাজার ২৩ কোটি টাকার কর মওকুফ করা হয়।
এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোট ১৫টি খাতে এই শুল্ক মওকুফ করা হয়। সবচেয়ে বেশি ১৯৯ কোটি টাকা মওকুফ করা হয় মেরিন বিমা খাতে। এ ছাড়া ভূমি ভাড়া, বিমা, নিরাপত্তা, শেয়ারের চুক্তি, বিদ্যুৎ বিতরণ চুক্তি ইত্যাদি খাতেও বিপুল অর্থ মওকুফ করা হয়।
দেশে বিভিন্ন বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কম্পানিকে শুল্ক-করসহ নানা ধরনের কর ছাড় দেওয়া হয়। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব সুরাইয়া পারভীন বলেছেন, ‘জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে বড় বড় প্রকল্পে বিদ্যুৎ বিভাগের অনুরোধে আমরা স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ করে থাকি।’


