বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আট দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জিটিআই) প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
জিটিআই এর আয়োজনে “মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম ও ফিল্ড লেভেল এগ্রিকালচার রিপোর্টিং” শীর্ষক কর্মশালায় বাকৃবিতে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত ১৭ জন সাংবাদিক এতে অংশ নেন।
জিটিআই এর পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়ার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে গেষ্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক ও তথ্য কমিশনের সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ ও প্রশিক্ষণের কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবীব এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয় । এসময় বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির ষাট বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘হীরক’ নামক একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, দেশ ও জাতির জন্য বাকৃবি কৃষি বিষয়ক জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছেন। সারা বিশ্বে তথ্যের যে রাজত্ব তা ব্যাপক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথ্য ভান্ডারে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে। ফলে তথ্য সংগ্রহের মতো কষ্ট সাধ্য কাজ প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণে অনেকটা গোছানো হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ডেটা জার্নালিজমের ফলে তথ্য প্রবাহের বিশাল গতিতে মানুষ খেই হারিয়ে ফেলে। তথ্য প্রযুক্তির উৎকৃষ্ট ব্যবহারের ফলে তথ্যের ধাবমান গতির মধ্যে হারিয়ে যাব না। এই দিক দিয়ে সাংবাদিকতা পেশা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এর সাথে জ্ঞানের গভীরতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষিখাতের উন্নতির ফলেই বাংলাদেশের এতো বিশাল জনগণের খাদ্যের যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। দেশের ধারাবাহিক উন্নয়নে কৃষিখাত, বাকৃবি ও কৃষি বিষয়ক ইন্সটিটিউট দেশের জন্য যে অবদান রাখছে তা আমরা জাতির সামনে সেভাবে তুলে ধরতে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিস্তৃত।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমরা এমমন সময়ে আছি, যেখানে সবই প্রযুক্তি কেন্দ্রিক। তাই প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতা করতে হবে। আর এই ব্যাপারে যারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পড়েন বা কৃষিবিদ তারাই সব থেকে ভালোভাবে তা জাতির সামনে তুলে ধরতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম।


