আশরাফুল ইসলাম আকাশ, বগুড়া প্রতিনিধি: “আমরা বন্ধুর কাছ থেকে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই ও সেই জন্যই বন্ধুকে চাই।” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উক্তিটিই যেন সবার জীবনে ঘুরে ফিরে আসে। যার আরেকটি প্রমাণ মিললো উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বগুড়ায়।
পুরোনো বন্ধুদের আপন করে নিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সদরের সাতমাথায় পুণর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
বগুড়ায় কর্মরত কৃষিবিদদের অংশগ্রহনে ‘কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সভ্যতা’ প্রতিপাদ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়েছে। এদিন জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুজিব মঞ্চে এসে শেষ হয়।
পরে বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে পুণর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আহবায়ক ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুড়িকৃবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন ও সাবেক সচিব মোঃ সারোয়ার মাহমুদ।
এর আগে শোভাযাত্রায় কৃষি নির্ভর বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও প্রতীকী ছবি নিয়ে হাজির হয়। এমনকি অনুষ্ঠানে সুসজ্জিত ঘোড়া গাড়ি, ব্যান্ড পার্টির দলও ছিলো। এসময় বাদ্যের তালে তালে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে কৃষিবিদরা।
জানা গেছে, পুনর্মিলনীতে অংশ নিতে ৪৫৬ জন কৃষিবিদ রেজিষ্ট্রেশন করেছে। এছাড়াও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে। দিনের শুরুতে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনীর প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে দুপুর আড়াইটা থেকে বগুড়ার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মনোজ্ঞ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানা গেছে।
সংবাদলাইভ/এবি


