আশ্রাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৩০৫ জন৷ নারী কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ২৩৮ জন।
পুরুষ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ৫৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো.কবির বলেন, ‘ঢাকা-৪ বাসীর উন্নয়নের স্বার্থে সকালে প্রথম দিকেই ভোট দিয়ে গেলাম৷ ভোট দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব৷ নিজে ভোট দিয়েছি, পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য বলছি।’
জুরাইনের হাজীকে আলী সর্দার রোডে আশ্রাফ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের বালিকা ভবনে ভোট দেন মনি আক্তার, সঙ্গে নিয়ে আসেন মেয়ে বকুল আক্তারকে৷ মনি আক্তার বলেন, যে এলাকার উন্নয়ন করতে পারবে তাকেই ভোট দিয়েছি। সকালে ভোট দিয়ে দারুণ লাগছে৷ প্রতিবারই সকালে এসে ভোট দিয়ে যাই৷ আলহামদুলিল্লাহ্ সকালে কেন্দ্রে এসে শান্ত পরিবেশ দেখেছি৷ ভোটকক্ষে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা সহযোগিতা করেছেন।’
মা নূরজাহান বেগমকে নিয়ে এই কেন্দ্রে ভোট দেন কানিজ ফাতেমা৷ কানিজ বলেন, ‘ নীরব একটি ভোট বিপ্লব হতে যাচ্ছে এই কেন্দ্রে। শান্ত পরিবেশ যদি দিনভর বজায় থাকে নারী ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।’
নারী কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ইজহার হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে কেন্দ্রে নারী ভোটারদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়েছে। কারো কোথাও অসুবিধা হলে আমরা সহযোগিতা করছি৷ আশা করি ভালো ভোট গণণা হবে এই কেন্দ্রে৷’
জুরাইনের ৫৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব জুরাইন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডলফিন কিন্ডারগার্টেন, পূর্ব জুরাইন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ড. আব্দুর রউফ প্রাথমিক বিদ্যালয়, আর কে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রগুলো ঘুরে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে৷ তারা টেবিল পেতে অস্থায়ী বুথ বসিয়ে ভোটারদের নানা তথ্য দিচ্ছেন৷
ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনের পক্ষেও হাজারো কর্মী এ এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন বলে জানান একটি অস্থায়ী বুথের কর্মী বৃষ্টি আক্তার।
লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার পক্ষে খুব বেশি নেতাকর্মীকে সক্রিয় পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-৪ আসনে মো. মনির হোসেন স্বপন (ঈগল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. ইয়াসিন হোসেন (হাতঘড়ি), তৃণমূল বিএনপির রফিকুল ইসলাম (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সোহেল (ডাব), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের সালেহ আহমেদ সোহেল (ছড়ি), ইসলামী ঐক্য জোটের শাহ আলম (মিনার) প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন৷ তবে তাদের পক্ষে কাউকে কেন্দ্রগুলোর আশপাশে দেখা যায়নি।


