বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল মালেক। সোমবার (১ মে ২০২৩) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
ড. মো. আব্দুল মালেক প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে সাপ্তাহিক পত্রিকা লৌহিত্যে (The weekly Lhowhitta), ৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে দৈনিক জনতার কণ্ঠস্বর ও পাক্ষিক সুবর্ণ বাংলা এবং ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে সাপ্তাহিক ময়মনসিংহ সমাচার ও দৈনিক সকালের দুনিয়ায় যে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে বিনা’র পরিচালক (গবেষণা) ড. আব্দুল মালেক একজন দুর্নীতিবাজ, জামাত ও বিএনপিপন্থীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা এবং তাঁর কর্মকান্ডে বিনা’র সার্বিক গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এসমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ড. মালেককে বিনা থেকে অন্যত্র বদলি করা প্রয়োজন। প্রকৃত সত্য হলো বর্তমান সময়ে ড. মালেক বাংলাদেশের তেলবীজ ফসলের জাত উদ্ভাবনে একজন স্বনামধন্য ও সফল গবেষক এবং পরিচালক (গবেষণা) হিসেবেও তিনি সফল। তাঁর ন্যায়পরায়ণতা, নিষ্ঠা ও সততার কারনে বিনা‘র বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের কাছে একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব, যার ফলশ্রতিতে বিনা বিজ্ঞানী সমিতি (বিনাসা)’র সর্বাধিক আলোচিত ২০১৯ সালের নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে বর্তমান মহাপরিচালকের প্যানেল (ড. মির্জা-ড. রফিক) এর বিরুদ্ধে ড. মালেক-ড. হারুন প্যানেল বিপুল ভোটের ব্যবধানে পর জয়লাভ করে।
বিনা’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মালেক জানান, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গবেষণাকে এগিয়ে নিতে অগ্রাধিকারভিত্তিক (বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইসতেহার, টেকসই উন্নয়ন অভিস্ট ২০২৩, রুপকল্প-২০৪১ ও মিলেনিয়াম গোল ২১০০) ও সময়োপযোগী (চতুর্থ শিল্প বিপ্লব) গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ ও ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে সুশাসনের আওতায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে তিনি ন্যায়পরায়ণতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
সর্বোপরি একজন গবেষকের গবেষণায় সাফল্য ও দক্ষতার মাপকাঠি হলো দেশের প্রয়োজনে তাঁর উদ্ভাবন। এছাড়াও যা বিবেচ্য তা হলো তাঁর প্রকাশিত গবেষণা আর্টিকেলের সংখ্যাসহ এগুলোর গুণগত মান ও গবেষণা আর্টিকেল/প্রবন্ধের মোট সাইটেশন সংখ্যা। উল্লেখ্য অদ্যাবধি ড. মালেকের উদ্ভাবিত ফসলের জাতের সংখ্যা ২৪টি (বিনা’র মোট উদ্ভাবিত জাতের সংখ্যা ১২৭টি), যা বিনা’র বিজ্ঞানীদের মধ্যে এককভাবে সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ ও ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরযুক্ত এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও দেশীয় জার্নালে ড. মালেকের প্রকাশিত গবেষণামূলক আর্টিকেলের সংখ্যা ১২৫, যেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিজ্ঞানীদের দ্বারা সাইটেশন হয়েছে মোট সংখ্যা ১৯৭৭বার (২৮ এপ্রিল ২০২৩ মোতাবেক) যেগুলোর এইচ-সূচক (ইনডেক্স) ২৩ এবং আই১০ সূচক (ইনডেক্স) ৩৫, যা বিনা’র বিজ্ঞানীদের মধ্যে এককভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক।
প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, প্রকৃত দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সাথে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পরিচালক (গবেষণা) ড. আব্দুল মালেক এ পর্যন্ত তাঁর গবেষণার ফসল হিসেবে টমেটোসহ তেলজাতীয় ফসলের ২৪টি জাত উদ্ভাবন করেছেন, যার মধ্যে সরিষার ১০টি, তিলের ৪টি, সয়াবিনের ৭টি এবং টমেটোর ৩টি। উদ্ভাবিত জাতসমূহের মধ্যে ১৯টি জাত উদ্ভাবনে প্রধান গবেষক ও বাকি ৫টিতে সহযোগী গবেষক হিসেবে ড. মালেক দাত্বিপালন করেছেন। তাঁর উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালের বিনাসরিষা-৪, বিনাসরিষা-৯ ও বিনাসরিষা-১১ কৃষকের মাঠে ব্যাপকভাবে চাষ হয়েছে ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে এবং তাঁর সাম্প্রতিক উদ্ভাবন উচ্চফলনশীল, বিভিন্ন প্রতিকূলতা সহনশীল ও আগাম আগাম জাতের বিনা সরিষা১২। এছাড়াও তাঁর উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও খরা সহনশীল তিলের জাত বিনাতিল-২, বিনাতিল-৩ ও বিনাতিল-৪ এবং উচ্চফলনশীল ও লবণাক্ততা সহনশীল সয়াবিনের জাত বিনাসয়াবিন-২, বিনাসয়াবিন-৩, বিনাসয়াবিন-৫, বিনাসয়াবিন-৬ ও বিনাসয়াবিন-৭ কৃষক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। তাঁর উদ্ভাবিত তেলবীজ ফসলের উল্লিখিত জাতগুলো সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক “তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প” এর মাধ্যমে প্রকল্প মেয়াদে দেশীয় ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০% দেশীয় উৎপাদন দিয়ে মিটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও আরো বেশি রাখবে। বিনা’র গবেষণা কার্যক্রমকে তরান্বিত করতে ড. মালেক গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, ফলে বিনা’র গবেষণার সার্বিক গুণগতমান উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণাও পেয়েছে গতি।
বর্তমান সরকারের নীতি ও মতাদর্শে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী পরিচালক (গবেষণা)’র বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা অভিযোগে উল্লিখিত বিজ্ঞানীসহ সরকারবিরোধী কোন দল বা সংগঠনের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকাসহ বিজ্ঞানীদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরির অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আর উল্লিখিত তারিখে বাকৃবি-তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম মহোদয়ের সহিত পরিচালক (গবেষণা)’র সাক্ষাত করার বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জিজ্ঞামাবাদে আরো জানা যায় যে, প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের সাথে পরিচালক (গবেষণা)’র যোগাযোগ শুধুমাত্র গবেষণার মানোন্নয়নকে ঘিরেই এবং বিজ্ঞানীদেরকে তাঁদের স্ব-স্ব গবেষণা ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধকরণ এবং গবেষণা কার্যক্রমকে তরান্বিতকরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
পরিচালক (গবেষণা) ড. মালেক বলেন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীসহ অন্যান্য জনবলের পদোন্নতি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন কমিটি সুপারিশের ভিত্তিতে যথা- বিনা’র নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটি-১ ও কমিটি-২ এবং বিশেস ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি-১ (ডিপিসি-১)। আর এগুলোর বাস্তবায়ন হয়ে থাকে বিনা’র বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট সভার সিদ্ধানেতর মাধ্যমে। কাজেই বিজ্ঞানীসহ অন্যান্য জনবলের পদোন্নতির বিষয়টি উল্লিখিত দু’টি কমিটিগুলোর এখতিয়ারভূক্ত দায়িত্ব, যেখানে পরিচালক (গবেষণা)’র এখতিযারভূক্ত কোন ভূমিকা নেই।
তিনি আরো জানান পরিচালক (গবেষণা) কর্তৃক প্রশাসনকে সহযোগিতা না করাসহ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আটকে রেখে বিনা’কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাছাড়া, কোন কমিটির সদস্য হিসেবে পরিচালক (গবেষণা)’র কাছে পক্ষপাতিত্বমূলক নয় বরং যা ন্যায়ভিত্তিক তা-ই উপস্থাপন করেন। এতদব্যতীত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারোর মামলা করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর ব্যক্তিগত ইচ্ছার ব্যাপার, তাতে পরিচালক (গবেষণা)’র প্ররোচনা প্রদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিনা’র মহাপরিচালক হওয়ার স্বপ্ন সম্পর্কে ড. মালেক বলেন মহাপরিচালক হতে কেও স্বপ্ন দেখতেই পারেন, তাতে দোষের কিছু নেই, কারণ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম মহোদয় ও পরিচালক (প্রশা. ও সা.সা.) ড. মো. আবুল কালাম ২১ বছরের অধিক সময় বিনা’য় চাকরি পর তাঁর চেয়ে জ্যেষ্ঠ হয়েছেন।
আর্থিক বিষয়সহ গবেষণা সংশ্লিষ্ট সর্বক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালনকারী; এসএসবি’র মাধ্যমে ২য় গ্রেডে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত (৫ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি.); ২০১৯ সালের বিনা বিজ্ঞানী সমিতি (বিনাসা) নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বর্তমান সরকারের মতাদর্শের অনুসারী বিনা বিজ্ঞানী সমিতি (বিনাসা)’র ড. মালেক – ড. হারুন নির্বাচনী প্যানেলের বিপুল ভোটে জয়ী ও নির্বাচিত সভাপতি; বিনা’য় সর্বপ্রথম জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৯ সালে বৃহত্তর জেলা (ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট) আঞ্চলিক পর্যায়ে খাজা উসমান খাঁ সিলভার এওয়ার্ডপ্রাপ্ত; বিনা’য় সর্বোচ্চ সংখ্যক ফসলের জাতের উদ্ভাবক এবং প্রকাশিত গবেষণামূলক আর্টিকেলের সর্বোচ্চ সাইটেশন সংখ্যার (১৯৭৭) অধিকারী পরিচালক (গবেষণা)’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো সুশাসনের নিমিত্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে অন্যায় ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিবাদকারী ড. মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের পরিকল্পিত ও প্রহসনমূলক একটি ষড়যন্ত্রের বহি:প্রকাশ।
বিনা’র চলমান গবেষণামূলক সকল ব্যয় সম্পর্কে পরিচালক (গবেষণা) মহোদয় বলেন বিনা’য় বিভাগীয় প্রধানদেরকে অন্যান্য এনএআরএস প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ব্রি ও বারি’র ন্যায় আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। কাজেই বিনা’য় চলমান সকল গবেষণামূলক ব্যয়ে গবেষণা সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষণা শাখার প্রধান পরিচালক (গবেষণা) সম্পৃক্ত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। এর উল্টো দেখা যাচ্ছে যে, একমাত্র রাজস্ব খাতের অর্থ ছাড়া চলমান ৫টি কর্মসূচি এবং ৩টি প্রকল্পের খরচে পরিচালক (গবেষণা) সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে না, যা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর প্রেক্ষিতেই পরিচালক (গবেষণা) তার অধীনস্থ ১১টি বিভাগ এবং সিএসও (আরসি) এর প্রতি পত্রজারি করেন যে, তাদের মাধ্যমে আসা খরচের সকল নথি পরিচালক (গবেষণা) এর মাধ্যমে প্রেরণ করতে বলা হয়, যা ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিক এবং এর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সুশাসন নিমিত্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা কিছুটহলেও হবে বলে পরিচালক (গবেষণা) মনে করেন।
বিনা’র কর্মচারী জনাব আলতাফ মাসুদের সাথে পরিচালক (গবেষণা) এর সম্পর্ক সম্পর্কে বলেন আলতাফ মাসুদ প্রশাসন শাখার একজন কর্মচারী হিসেবে প্রশাসন শাখায়ই কর্মরত ছিলেন, পরে তাকে বিনা উপকেন্দ্র চাপাইনবাবগঞ্জে বদলি করা হয়। বিনা’র সকল উপকেন্দ্র যেহেতু পরিচালক (গবেষণা)’র নিয়ন্ত্রনাধীর সেই সুবাদে তার ছুটি গ্রহণ বিষয়ে কিছু যোগাযোগ হতো, এর বাহিরের কোন বিষয়ে নয়। সে কোন মতাদর্শের সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, অভিযোগে তার মতাদর্শের সাথে পরিচালক (গবেষণা)-কে জড়ানোর উল্লিখিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিচালক (গবেষণা)-কে হেয় করার অপচেষ্টা মাত্র।
বিনা’য় চলমান সিসিটিএফ প্রকল্পের বিষয়ে পরিচালক (গবেষণা) বলেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. সাকিনা খানম ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচালক (গবেষণা)-কে এড়িয়ে প্রকল্পের ২০২২-২৩ অর্থবছরের গবেষণা কার্যক্রম চুড়ান্ত করেছেন এবং উক্ত প্রকল্পের ইনসেপশন কর্মশালায় বিশেষ অতিথিদের গ্রেডেশনকে তোয়াক্কা না করে তাদের বক্তব্যের ক্রম উল্লেখ করেছিলেন, যা ছিল ২য় গ্রেডের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচালক (গবেষণা)’র জন্য অপমানজনক, তা সত্বে পরিচালক (গবেষণা) প্রধান অতিথি অতিরিক্ত সচিন জনাব মো: রুহূল আমীন তালুকদার সম্মানার্থে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, বক্তব্য দিয়েছেন এবং প্রধান অতিথি মহোদয়ের সাথে কী জন্য সম্মানী নেননি ও আপ্যায়নে অংশ নেননি সেবিষয়েও কথা বলেছেন। পত্রিকায় উল্লিখিত প্রধান অতিথি মহোদয়কে অপমানসহ বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উপরোন্তু ড. সাকিনা কর্তৃক উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যুক্তিসঙ্গত আদেশ অমান্য করাটা ছিল আচরণবিধির লঙ্ঘণ, যা তার অদক্ষতার প্রমাণ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পরিচালক (গবেষণা) আরো উল্লেখ করেন ড. সাকিনার উল্লিখিত বিষয়ে পরিচালক (গবেষণা) কর্তৃক মহাপরিচালক মহোদয়কে অবহিত এবং পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করলেও কার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো পরিচালক (গবেষণা)-কেই এর ব্যাখ্যা দিতে বলেন, যা কি-না পরিচালক (গবেষণা)-কে পুরোপুরি হেয় করার শামিল।
সাংবাদিককে হুমকী দেয়া প্রসঙ্গে পরিচালক (গবেষণা) বলেন সাংবাদিককে হুমকী নয় বরং তাকে বলা হয়েছিল একমাত্র সত্যতা যাচাই করেই কোন বিষয় খবরের কাগজে আনা উচিৎ এবং মিথ্যা তথ্য সংবাদে আনলে তা সাংবাদিকদের জন্য ভালো নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ প্তাসাহিক পত্রিকা লৌহিত্যে পত্রিকায় প্রকাশিত সকল অভিযোগই ছিল মিথ্যা, বানোয়াট, সড়যন্ত্রমূলক এবং পরিচালক (গবেষণা)-কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় করার একটি অপচেষ্টা।
পরিচালক (গবেষণা) মহোদয় আরো বলেন পরিচালক (গবেষণা)’র সাথে আলাপের প্রেক্ষিতে কোন সাংবাদিক সত্য উপস্থাপন করাকে নিয়ে কেহ নিজেকে অপমানিত বোধ করলে সেটা হীনমন্যতার পরিচায়ক। তাছাড়া পরিচালক (গবেষণা)-কে জামাতের আশ্রয়দাতা বলাসহ সরকাবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।
ড. মালেক আরো জানান ২০১৯ সালের বিনা বিজ্ঞানী সমিতি (বিনাসা) নির্বাচনে ছাত্রজীবন হতে কর্মজীবনের অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বর্তমান সরকারের মতাদর্শের অনুসারী ড. মালেক – ড. হারুন নির্বাচনী প্যানেলের বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর হতেই পরাজিত প্যানেলের বড় একটি অংশ এবং তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দোষর বিনা’র গবেষণাবিমুখ, স্বার্থান্বেষী ও আর্থিক দুর্নীতিবাজদের একটি দুষ্টু চক্র তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগসহ অন্যত্র বদলি এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে আসছে। বিনা’য় গবেষণার অনুকূল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি গবেষণার গুণগত মান ও গতি তরান্বিত করাসহ দেশের কৃষির সার্বিক উন্নয়নে বিনা’র অবদান অব্যাহতভাবে রাখতে পরিচালক (গবেষণা) ড. মালেক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারী তথা বিনা’র চলমান গবেষণাকে স্থবির করার চক্রান্তে লিপ্তদের চিহ্ণিতপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কর্মকর্তার সমন্বয়ে সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষতার আলোকে তদন্ত কমিটি গঠন করে কৃষি মন্ত্রণালয় মাধ্যমে তদন্ত করারও আহবান জানান।
সর্বোপরি ড. আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লিখিত বিষয়সমূহ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা বিনা’র পরিচালক (গবেষণা), বিএআরসি’র ডিপিসি-১, বিনা’র বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট, সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সর্বোপরি সরকারের ভাবমুর্তিকেই ক্ষুণ্ন করেছে।
সংবাদ লাইভ/প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি


