পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি গবেষণা সম্প্রসারণ ও ফল উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণার উদ্ভাবিত জাত প্রযুক্তি আরও বিস্তৃত করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ সোমবার, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রাঙ্গামাটিতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি কর্মশালা ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), গাজীপুর-এর পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, “পাহাড়ি অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নত জাতের চাষাবাদ এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের একযোগে কাজ করতে হবে।”
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার জেনি। কোরআন তেলাওয়াত করেন ড. মু. তোফাজ্জল হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. এ এস এম হারুনর রশীদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা; কৃষিবিদ মো. মনিরুজ্জামান, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি; ডঃ আমিনুল ইসলাম মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ব্রি.এবং ডঃ মোঃ আমিন সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ব্রি।
চারটি কারিগরি অধিবেশনে আয়োজিত এই কর্মশালায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপস্থাপনা দেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পারমাণবিক কৃষি গবেষণা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিজাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা; ড. মো. সেলিম, এসএসও; মো. মাহমুদুল হাসান, এসও এবং অভিজিৎ সিং প্রমুখ।
কর্মশালায় প্রায় শতাধিক বিজ্ঞানী, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং কৃষি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা পর্বে পাহাড়ি অঞ্চলে সহিষ্ণু ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, অমৌসুমী ফলের চাষ বৃদ্ধি এবং সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।


