নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়েছে, শ্রীলঙ্কা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়েছে, শ্রীলঙ্কা হয়নি। তাই বগুড়ার মানুষকে বলতে চাই, আগামী ১লা ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে একবার নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নৌকা উপহার দেন। আমি কথা দিচ্ছি, শেখ হাসিনা বৈষম্য করে না। তিনি যেভাবে গোপালগঞ্জকে দেখে, তার চেয়েও ভালোভাবে বগুড়াকে দেখবে।’
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা বিরোধীদের হুশিয়ারি দিয়ে কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের আর কোনো শক্তি ২০১৩ ও ১৪ সালের মতো গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারতে পারবে না। তারা যদি এই মদদে মাঠে নামেন, আপনারা তাদের ঘরে তুলে দিবেন। এই বাংলায় আর কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা রাস্তায় হবে না। কোনো খুনির জায়গা রাস্তায় হবে না। কোনো স্বাধীনতা বিরোধীর জায়গা রাস্তায় হবে না। যারা পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে তাদের জায়গা রাস্তায় হবে না।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাংলার মানুষ মুক্তি পায়। এরপর থেকে সারাদেশ জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত, ঘরে ঘরে আনন্দ মিছিল চলছিল। তারপরও বাংলার মানুষের অর্জিত স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা আসেনি। সেই পরিপূর্ণতা আসে যখন স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু পা রাখলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলার মানুষ স্বাধীনতার পরিপূর্ণ স্বাদ পান।
বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রিপুকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন কোনো ব্যক্তির নির্বাচন না। আমি রিপুর পক্ষে কথা বলতে আসিনি। আমি নৌকার পক্ষে কথা বলতে এসেছি। যে প্রতীক মুক্তিযুদ্ধের, স্বাধীনতার, বঙ্গবন্ধুর, গণতান্ত্রের। যে মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হয় না, না খেয়ে থাকে না। যে নৌকায় ভোট দিয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, বৃদ্ধ-বিধবারা ভাতা পায়, প্রতিবন্ধীরা ভাতা পায়, মাতৃত্বকালীন ছুটি পায়। এবার বগুড়ার মানুষের সুযোগ এসেছে সেই প্রতীকের পক্ষে যাওয়ার। তাই সবাইকে অনুরোধ করবো একবার নৌকাতে ভোট দিন।
বগুড়া জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু।
এদিন সমাবেশে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্তর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সহ-সভাপতি টি-জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর দুলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম রাজ, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিস পোদ্দার লিটন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্তর নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। এতে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। মিছিলটি সাতমাথা থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে বিকাল ৩ টা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সাতমাথার মুজিব মঞ্চের সামনে সমাবেত হন। পরে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


