নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকলেও পদ ছাড়াই শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মীদের মানববন্ধন করেছেন তিনি।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ভাইয়ের মুক্তি চাই এসব দাবি সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে এ মানববন্ধনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান মানববন্ধনের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও শিক্ষাঙ্গনকে ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত এবং জনগণের ভোটাধিকারকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দল ও দেশের ক্রান্তিলগ্নে কমিটিতে থাকা না থাকার চেয়ে দায়িত্ব পালন করে যাওয়াটাই আমার কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। দুঃসময়ের নোবিপ্রবি ছাত্রদলের এই আমি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।’
শাখা ছাত্রদলের কর্মী সাব্বির হোসেন বলেন, ‘শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। মেয়াদ থাকাকালীন সময়েও কোনো কার্যক্রমে তারা ছিল না এবং সবাই বর্তমানে চাকরি অথবা বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত। কেবল ভিন্ন মতাদর্শ ধারণ করার জন্য আমাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। আমরা মূলত অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। নোবিপ্রবি ছাত্রদলকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।পদ-পদবী আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির আহ্বায়ক নুর হোসেন বাবু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম চলমান রাখছি। বিভিন্ন সময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি। ফেসবুকে ছবি শেয়ার করিনা। ফেসবুকে কর্মীদের ছবি শেয়ার করলে ক্যাম্পাসে দেখা যায় হেনস্তার শিকার হতে হয় কর্মীদের।
উল্লেখ্য, মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্রদল কর্মী ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম রনি, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফারুক ও রুবেল, কৃষি বিভাগের আমিনুল ইসলাম, রনি ও রুবেল সহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।


