ঢাকাশনিবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  1. কৃষি ও পরিবেশ
  2. খেলা
  3. জাতীয়
  4. ধর্ম
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. ভ্রমণ
  8. মতামত
  9. রাজনীতি
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সাক্ষাৎকার
  12. সারাদেশ
  13. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ খবর

নারী চালক: ট্রেনে সালমা, মেট্রোরেলে মরিয়ম, বিমানে রোকসানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেশের প্রথম নারী ট্রেনচালক সালমা খাতুন: বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র নারী সহকারী ট্রেনচালক হিসেবে ২০০৪ সালের ৮ মার্চ রেলওয়েতে যোগদান করেন সালমা খাতুন। নিয়োগের প্রথম দুই বছর চট্টগ্রামের প্রশিক্ষণ একাডেমি, পাহাড়তলী, ঢাকা লোকোমোটিভ শেডসহ বিভিন্ন ওয়ার্কশপে হাতে-কলমে শিক্ষা নেন।

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৩ সালের আমি যখন সহকারী ট্রেনচালক পদে পরীক্ষা দিই, তখন রাজশাহী জোনাল অফিসে টাঙ্গাইল জেলা থেকে ১৩৪ জন পুরুষ পরীক্ষার্থী থাকলেও ঢাকার ১৭টি জেলা মিলিয়ে সে সময় নারী আবদেনকারী ছিলেন মাত্র দুজন। মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা শেষে ২০০৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হাতে পাই নিয়োগপত্র। এরপর দুই বছরের প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকা লোকোমোটিভ বিভাগে যোগ দিই। এরপর থেকেই চালকের সঙ্গে ট্রেন চালাচ্ছি।’ সালমা প্রথম ট্রেন চালান ২০০৬ সালে। এ কাজ করতে গিয়ে সালমাকে অনেক স্থানে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে। ২০০৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী থেকে ফিরছিলেন। জানাজানি হয় ট্রেনে নারী চালক রয়েছে। সোনাইমুড়ী স্টেশনে আসতেই লোকজন ভিড় করে হইচই করে। সালমা ট্রেন থামিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে সবাই শান্ত হয়।

পেশাটির চ্যালেঞ্জিং দিকগুলো সম্পর্কে সালমা বলেন, ‘এটা এমন এক পেশা, যেটা মূলত পরুষদের জন্যই ধরা হয়। এ পেশায় মেয়েদের কাজের পরিবেশ এখনো যথাযথ নয়। নারী ট্রেনচালকদের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা কম। এমনকি যারা আমার সঙ্গে কাজ করে, তারাও বলে তুমি কি এটা পারবা? অথচ তারা দেখছে আমি দিব্যি করে যাচ্ছি, তার পরও বলে। প্রায়ই ট্রেনে ইট নিক্ষেপ ও চোরাকারবারিদের ত্রাসের সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, অনেকেই আবার বিস্মিত হয়, কেউ হয় মুগ্ধ। কাজের পরিবেশ এখনো পুরোপুরি তৈরি না হলেও এ পেশায় নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে কাজের পরিবেশ যথাযথ হবে বলে আশা করি।’ উচ্চশিক্ষিত সালমা কেন এ পেশা বেছে নিলেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় চ্যালেঞ্জিং পেশায় যেতে চেয়েছিলাম। এ পেশাটির মাধ্যমে নতুন একটি ধারা শুরু করতে পারব এটাও একটি কারণ ছিল। আমি বাংলাদেশের প্রথম নারী ট্রেনচালক, এটা ভাবতেই ভালো লাগে।’

টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের অর্জনা গ্রামের মেয়ে সালমা খাতুন অর্জনা মুহসীন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছেন সালমা। কৃষক বাবা বেলায়েত হোসেন ও গৃহিণী মা তাহেরা খাতুনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সালমা চতুর্থ। এক কন্যাসন্তানের জননী সালমার ২০১১ সালে বিয়ে করেন ঢাকা জজকোর্টে কর্মরত হাফিজ উদ্দিনকে।

দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নারী চালক মরিয়ম আফিজা: দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নারী চালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে লক্ষ্মীপুরের মেয়ে মরিয়ম আফিজা। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর নিয়োগ পান তিনি।

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি। আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন।

মরিয়ম আফিজা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের হালিশহরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনিং একাডেমিতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ঢাকায় ফিরে আরও চার মাস প্রশিক্ষণ নেন।

মরিয়ম আফিজা বলেন, গত বছরের নভেম্বরে আমি নিয়োগ পেয়েছি। বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল যেমন স্বপ্নের মতো, ঠিক তেমনি মেট্রোরেল আমার কাছেও একটা স্বপ্ন। আমি নিজে ট্রেন চালিয়েছি এটা ভেবে বেশ আনন্দ লাগছে।

দেশের প্রথম নারী বৈমানিক সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা: বাংলার ইতিহাসের এক গর্বের নাম। তিনি বাংলাদেশের অফিশিয়ালি নারী বৈমানিক বা পাইলট হিসেবে বিবেচিত। অনেকের কাছে হয়তো নতুন বা জানেন না। তিনি ক্যাপ্টেন পদাধিকারী ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনার সনদ লাভ করেন।

সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা বাংলাদেশের সরকারি বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর প্রথম নারী বৈমানিক ছিলেন এবং উনাকেই বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে ধরা হয়।

উনার জীবনী নিয়ে তেমন লেখালেখি না থাকার কারন উনি খুবই অল্প সময় এই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন যার কারনে ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ১৯৮৪ সালের ৪ আগস্ট তিনি বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ফকার এফ-২৭ বিমানে করে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়ার কারনে বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কয়টা ভয়ংকর বিমান দূর্ঘটনা রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। ৪৫ জন যাত্রীসহ ৪জন ক্রু সদস্য নিহত হন। এই দূর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন জাপানী এবং ৩৩জন মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত বাংলাদেশী ছিলেন।চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আগত অভ্যন্তরীণ এই ফ্লাইটটি অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে দুইবার অবতরণের চেষ্টা করেও রানওয়ে খুজে পেতে ব্যার্থ হয়, তৃতীয়বার অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ৫০০ মিটার আগেই এক জলাভূমিতে পতিত হয়ে বিধ্বস্ত হয়।

সংবাদ লাইভ/নারী চালক

www.sangbadlive24.com এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও সবকিছুই আমাদের নিজস্ব। বিনা অনুমতিতে এই নিউজ পোর্টালের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যে কোন বিষয়ে নিউজ/ফিচার/ছবি/ভিডিও পাঠান news.sangbadlive24@gmail.com এই ইমেইলে।