ঢাকাসোমবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৩
  1. কৃষি ও পরিবেশ
  2. খেলা
  3. জাতীয়
  4. ধর্ম
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. ভ্রমণ
  8. মতামত
  9. রাজনীতি
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সাক্ষাৎকার
  12. সারাদেশ
  13. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ খবর

নম্বর টেম্পারিং এর অভিযোগ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৭, ২০২৩ ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নম্বর টেম্পারিং এবং পছন্দের প্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহর বিরুদ্ধে ।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিং এবং পছন্দের প্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পায়তারার অভিযোগ তুলে ইউজিসি(বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) এবং দুদকে (দূর্নীতি দমন কমিশন) দেওয়া লিখিত অভিযোগ দেন ফোকলোর বিভাগেরই তিন শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগে আগামীকাল ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের দাবিও জানানো হয়। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের নিপা পাল, সুমাইয়া নাসরিন ঐশী এবং মো: আশিকুর রহমান শাকিল।

তথ্যমতে, ২০২০ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রদিতি রাউত প্রমার প্রতি পক্ষপাতিত্ব, নম্বর টেম্পারিংয়ের যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগ এনে ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহকে পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসরণের দাবিতে আন্দোলনে নামে ঐ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এরই জেরে ড. মেহেদীকে ঐ শিক্ষাবর্ষের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তিন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বিভাগের এক শিক্ষকের শিক্ষাছুটিতে যাওয়ায় ড. মেহেদী পূর্বের পদত্যাগকৃত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের যোগসাজশে নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে স্নাতকে সিজিপিএ ৩.৫০ প্রাপ্ত প্রদিতি রাউত প্রমাকে স্নাতককোত্তরে সিজিপিএ ৩.৮৫ সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রদান করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের কাছে আবেদন দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি। এ বিষয়ে জানতে উপাচার্যের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

এ ব্যাপারে ড. মেহেদী উল্লাহ বলেন, চিঠির অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। ফলাফলের ব্যাপারটি তো পরীক্ষা কমিটির সভাপতির তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। আর যে ফলাফল নিয়ে তাদের অভিযোগ, সেটি এক দেড় বছর হয়ে গেছে এবং সেই সেমিস্টারে আমার কোনো কোর্সও ছিলো না। তাই এ বিষয়টি নিয়ে অনেক আগেই ইউজিসিতে যাওয়া উচিত ছিলো, তাহলে এতোদিনে সমাধান হয়ে যেতো। এতদিন পর অভিযোগ করাই পরিষ্কার করে দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যটা কি।

অন্যদিকে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্নাতকের শুরু থেকেই ড. মেহেদী উল্লাহ নিজ কোর্সে প্রদিতি রাউত প্রমাকে বিশেষ নজড়ে দেখে সর্বোচ্চ নম্বর প্রদান করতেন। আরও অভিযোগ রয়েছে আসন্ন শিক্ষক নিয়োগেও প্রদিতি রাউত প্রমাকে শিক্ষক বানাতে বিভিন্ন মহলে তৎপরতা চালাচ্ছে ড. মেহেদী উল্লাহ।

এছাড়া ড.মেহেদী উল্লাহ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রেও রয়েছে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ। নিয়োগের শর্তে স্নাতকের সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩.৫০ চাইলেও শর্তভঙ্গ করে মাত্র ৩.৩১ সিজিপিএ নিয়ে শিক্ষক হয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে প্রদিতি রাউত প্রামার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের পায়তারার ব্যাপারে ড. মেহেদী উল্লাহ জানান, যারা যোগ্য, ভাইভা বোর্ডের কাছে নিজেকে যারা প্রমাণ করতে পারবে তারাই আসবে। এখানে আমার কোন বিষয়ে চিন্তা করার জন্য বোর্ড তৈরি হয় নাই, বোর্ড তৈরি হয়েছে সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান শাকিল জানান, নম্বর টেম্পারিং এবং প্রদিতি রাউত প্রমাকে মেহেদী স্যার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে চান এ বিষয়টি বিভাগের সবাই জানে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু প্রশাসন তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলা অনুষদের এক শিক্ষক এ বিষয়ে বলেন, আমরা চাইনা বিতর্কিত কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হোক। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়।

অভিযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো: জামিনুর রহমানকে কল করা হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে কল কেটে দেন।

www.sangbadlive24.com এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও সবকিছুই আমাদের নিজস্ব। বিনা অনুমতিতে এই নিউজ পোর্টালের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যে কোন বিষয়ে নিউজ/ফিচার/ছবি/ভিডিও পাঠান news.sangbadlive24@gmail.com এই ইমেইলে।