পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষের কাছে আমি ঋণী, আলহামদুলিল্লাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করলাম।
পড়াশোনার জীবনটা খুব আরলি শেষ হয়ে গেছে, বুঝতেই পারিনি কত কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছি। মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে আমাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও বিশ্ব যুদ্ধের মতো কিছু পরিস্থিতিতে।
আমার শরীর অনেকবার থেমে গেছিলো! কিন্তু আমার অবুঝ মন থামতে জানেননা। আমি কাঁটার যন্ত্রণা টাকে মনে করেছি মৌমাছি, মধুর কল।
পড়ালেখার জীবন শেষ! নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন আরো একটি চ্যালেঞ্জ শুরু হয়েছে, এতদিনের চ্যালেঞ্জ গুলো খুব সহজে অর্জন করেছি মনে হচ্ছে, কারণ ক্যারিয়ার জীবনের আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমার সফলতা অসম্ভব।
আমার মনোবল ও দক্ষতা দিয়ে প্রতিটি কাজ সফল করার যোগ্যতা আমার আছে এবং এটাও বলতে পারি যে, অন্যান্যদের চেয়ে অনেক কাজে এগিয়ে আছি আলহামদুলিল্লাহ।
ঐই দক্ষতা একদিনে বা কোথাও থেকে উড়ে আসে নাই, নিজে যেন কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে না পড়ি করতে হয়েছে হাজারো ত্যাগ। ভালোমন্দ খাওয়া, কিশোর বয়সের স্বপ্ন পূরণ সব ত্যাগ করেছি। এমনকি প্রিয়তমাও তৈরি করি নাই যদি ব্যাক্তিগত সময় দিতে গিয়ে দক্ষতায় পিছিয়ে পড়ি!
কিন্তু গতানুগতিক চিন্তাধারা মানুষের নিকট আমার দৃশ্যমান শারীরিক গঠন আলোচ্য বিষয়। অতীতে যেমন পরিবার, সমাজ, স্কুল কলেজে অন্যদের চেয়ে বেশি কিছু করতে হয়েছে। ঠিক সামনেও আমাকে তা পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
আমি ও আমার মা, আমরা দুজন আমাদের পরিবারে, মা তুমি চিন্তা করো না, আমি কর্মজীবনেও সফলতা অর্জন করবো, তোমার দুঃখ মুছবো, ভালোমন্দ খাওয়াবো, তুমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে তোমার ছেলে এখন অফিসার।
তবে যাই হোক, আমার দৃড় বিশ্বাস, সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে আমি এগিয়ে যাবো। আমি সুযোগ চাই, আমাকে সুযোগ দিন, পরিবর্তন আসুক, আমি পরিবর্তন করতে চাই আমাদের পরিবেশ।


