ঢাকাশনিবার , ২২ জুলাই ২০২৩
  1. কৃষি ও পরিবেশ
  2. খেলা
  3. জাতীয়
  4. ধর্ম
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. ভ্রমণ
  8. মতামত
  9. রাজনীতি
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সাক্ষাৎকার
  12. সারাদেশ
  13. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ খবর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু ঝুঁকি

রোহান চিশতী , নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
জুলাই ২২, ২০২৩ ৪:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। চলতি বছরের জুলাই মাসেই ডেঙ্গুর লক্ষণ দিয়ে হাসপাতে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৬৯ জন। তবুও এ বিষয়ে উদাসীন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির ২ সপ্তাহ পেরোলেও ডেঙ্গু মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা, মুক্ত পানি
নিষ্কাসন ব্যবস্থার অভাব, ঝোপঝাড়, যেখানে সেখানে পানি জমে থাকা এডিস মশা উৎপত্তির মূল কারণ হলেও এর কোন সমস্যারই সমাধান করতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে।

বিকেলের পরপরই আবাসিক হল, ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন স্থানে মশার উৎপাত দেখা যায় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এরই মাঝে কয়েকজন শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও মশা নিধনে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের ড্রেনগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যেখানে এডিস মশা জন্মানোর উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হলের চারপাশের ড্রেন, শিক্ষকদের ডরমিটরির সামনের ড্রেন, সেতুবন্ধ গেস্ট হাউজ ও নতুন রাস্তা সংলগ্ন ড্রেন, প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন স্থান, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার পূর্ব অংশ, গাহি সাম্যের গান মুক্ত মঞ্চের পূর্ব অংশ, ব্যথার দান মেডিকেল সেন্টারের চারপাশসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই আবর্জনা ও পানি জমে থাকে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র।

অগ্নিবীণা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হাসান আকাশ বলেন, ড্রেনের নিষ্কাশন ব্যবস্থা অকেজো হওয়া আর বৃষ্টি পানি অনেক জায়গায় জমার কারণে ক্যাম্পাসে মশার উৎপাত বাড়ছে।সন্ধ্যা হলেই জানালা খোলা যায় না মশার জন্যে। প্রশাসনের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। নাহলে খুব দ্রুতই ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করবে।

বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, হলে প্রচুর মশা। কয়েকদিন আগে স্প্রে করলেও মশা কমেনি। দরজা-জানালা বন্ধ রাখলেও মশা থেকে বাঁচার উপায় নাই।

ব্যথার দান মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল খায়ের মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ক্যাম্পাস খোলার ২য় সপ্তাহেই বিশের অধিক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে পরীক্ষা করিয়েছেন।

বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া বলেন, ক্যাম্পাস খোলার দিনই ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি। ইতোমধ্যে পৌরসভার সাথে যোগাযোগ করে গত ৩ দিন আগে হলে স্প্রে করা হয়েছে। তবে হলের পাশের ড্রেনে পানি জমে আছে। উপাচার্য স্যারের মাধ্যমে প্রকৌশল দপ্তরকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। কাজ চলছে। কিন্তু সময় লাগবে।

www.sangbadlive24.com এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও সবকিছুই আমাদের নিজস্ব। বিনা অনুমতিতে এই নিউজ পোর্টালের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যে কোন বিষয়ে নিউজ/ফিচার/ছবি/ভিডিও পাঠান news.sangbadlive24@gmail.com এই ইমেইলে।