ঢাকারবিবার , ১৫ অক্টোবর ২০২৩
  1. কৃষি ও পরিবেশ
  2. খেলা
  3. জাতীয়
  4. ধর্ম
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. ভ্রমণ
  8. মতামত
  9. রাজনীতি
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সাক্ষাৎকার
  12. সারাদেশ
  13. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ খবর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও নারীকে কটুক্তির অভিযোগ

নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ১:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগে অস্বচ্ছতা এবং ভাইভা বোর্ডে নারী চাকরি প্রার্থীকে কটুক্তির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন

বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন দুই শিক্ষার্থী। গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানান তারা। ভুক্তভোগী দুই চাকরি প্রার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাহানারা মুক্তা এবং একই শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান। তারা যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সুপারভাইজার পদের চাকরী প্রত্যাশী ছিলেন।

ছাত্রীহলের হল সুপারভাইজার পদে মেয়েদের প্রাধান্য না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জাহানারা মুক্তা বলেন, নিয়োগবোর্ডের ভাইভায় নারীদের হেয় প্রতিপন্ন ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলা হয়েছে। ভাইভার একপর্যায়ে উপাচার্য আমাকে বলেন আমি এই জবটি পাবার জন্য কি কি স্যাক্রিফাইস করতে পারি? কথাটি মোটেও ভালো ইঙ্গিতপূর্ণ ছিলোনা। উনি এটাও বলেন, মেয়েরা কষ্ট করতে পারেনা, দৌড়াদৌড়ি করতে পারেনা, মেয়েরা জব পাবার যোগ্য না। মেয়েরা সংসার সামলাবে, স্বামী বাচ্চা-কাচ্চা দেখবে, জব করতে কেনো যে আসে এরা, একটু বেশি বুঝে। আপনার স্বাবলম্বী হওয়ার এতই ইচ্ছা, তাহলে অনলাইনে বিজনেস করেন, শাড়ী-চাদর বিক্রি করেন। ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তিনি আরও দাবি করেন, নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়ে উপাচার্য তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করেছেন। যে প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে, তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ছিলো না। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ছিলো শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু সুপারিশকৃত প্রার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএ ২.৮০, যা তৃতীয় শ্রেণি হিসেবে গৃহীত। সেই প্রার্থী আবেদনে যে অভিজ্ঞতার সনদ দিয়েছে সেটাও পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। এছাড়াও প্রতিটি পদের বিপরীতে ৪৫ থেকে ৭০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তুলে তিনি এমন অস্বচ্ছ ও নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুণরায় স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান এবং নারী জাতিকে যোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য উপাচার্যকে আহবান জানান।

ভুক্তভোগী প্রার্থী আনিসুর রহমান বলেন, ভালো পরীক্ষা এবং ভাইভা দেওয়ার পরও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের উপেক্ষা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেয়া শিক্ষাতেই আমরা উচ্চশিক্ষিত হয়েছি, কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে আমাদেরকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হলো। এসময় তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় দুজন হল সুপারের বিপরীতে প্রাথমিকভাবে ৭ জন এবং ২ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদের বিপরীতে প্রাথমিকভাবে ২২ জন উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে ৩১ আগস্ট তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়।

www.sangbadlive24.com এ প্রকাশিত সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও সবকিছুই আমাদের নিজস্ব। বিনা অনুমতিতে এই নিউজ পোর্টালের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। যে কোন বিষয়ে নিউজ/ফিচার/ছবি/ভিডিও পাঠান news.sangbadlive24@gmail.com এই ইমেইলে।