জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) নজরুল ভাষ্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, চারুকলা অনুষদের ডিন ও প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নবাব মোঃ শওকত জাহান কিবরিয়া, সহ-সভাপতি নওসাদ আল সাইম, সাধারণ সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসান, দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ানসহ অন্য সদস্যরা।
প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, জাতীয় কবির জীবনাচরণ ও কর্মকে নিয়ে নজরুল স্টাডিজ নামে কোর্স চালু করা হয়েছে যা প্রত্যেকটি বিভাগে আবশ্যক। জাতীয় কবিকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বইও তৈরি করা হয়েছে যা সারা বাংলাদেশের মানুষ চাইলে পড়তে পারবে। এভাবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল চর্চায় তীর্থ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষার্থীর প্রতি আমি আহ্বান জানাই আমরা যেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দর্শন ও চেতনাকে নিজেদের মাঝে লালন করি এবং সেগুলোকে জীবনের প্রত্যেকটা কর্মক্ষেত্রে ও প্রতিটা স্তরে স্তরে যেন ছড়িয়ে দিই।
প্রেসক্লাবের সভাপতি নবাব মোঃ শওকত জাহান গভীর শ্রদ্ধায় প্রেম, দ্রোহ ও সাম্যের কবি নজরুলকে স্মরণ করে বলেন, নজরুল সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তিনি লোভ, লালসা, খ্যাতি ও অর্থবিত্তের মোহের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য। তার আদর্শ ও চেতনা আমদের জন্য আলোর দিশারী।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসান বলেন,
কবি কাজী নজরুল ইসলাম খ্রিস্টান, হিন্দু বা মুসলমানের কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির কবি। তিনি মানবতার কথা বলে গেছেন। তিনি ছিলেন মানবতাবাদী চেতনার ধারক ও বাহক। তাঁর প্রতিভা উপলব্ধি করতে হলে, তার সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করতে হবে।


