নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর জন্য মূলত উন্নত বিশ্বই দায়ী। পৃথিবীর জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ সরকার ২০২০-২০২১ অর্থবছর পর্যন্ত তিন হাজার ৮৫২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আগামী অর্থবছর থেকে আরো বেশি অর্থ বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার তেজগাঁওয়ে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
মন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে কপ২৭ কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছে। এবারের সম্মেলনে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ৭০ মিলিয়ন ডলার ও অ্যাডাপ্টেশন (অভিযোজন) ফান্ড থেকে ২১১ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছর আমাদের জিডিপিতে ক্ষতির পরিমাণ ১.৩ শতাংশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ছয় কোটি ৮০ লাখ লোক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে। বর্তমানে দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি সাতজনের মধ্যে একজনের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি হচ্ছে। জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন করা সম্ভব না হলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে দুই কোটি ৬০ লাখ লোকের বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি আছে।’
বাংলাদেশে জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে আট দফা সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আর্থিক, কারিগরি ও দেশীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা, আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার আলোকে বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ, জলবায়ু অর্থায়নে প্রাইভেট সেক্টরকে সম্পৃক্তকরণের কর্মকৌশল নির্ধারণ, প্রকল্পে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহারে শ্রমিকের কর্মসংস্থান যেন সংকুচিত না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ, জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনে পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ প্রকল্প চালু ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে গবেষণা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কাজে সম্পৃক্ত করা।
প্রতিযোগিতায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হন।


