নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা সন্নিকটে। ঈদ উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে বাড়ি পৌঁছে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগে অধ্যয়নরত নেপালের তিন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলম, রাম মেহেতা এবং রাবি কুমার যাদবের ঈদের ছুটি কাটবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই। আলম নেপালের লুম্বিনি প্রদেশ থেকে পড়তে এসেছেন, রাম কুশী প্রদেশ থেকে আর রাবি এসেছেন মাদেশ প্রদেশ থেকে।
নেপালী তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে আলম মুসলিম সম্প্রদায়ের। বাকি দুইজন অন্য ধর্মাবলম্বী হলেও আলমের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন তারাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নেপালী মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ঈদে বাড়ি ফেরার মতো আনন্দের কিছু হয় না। যেহেতু আমি মুসলিম সেহেতু আমার জন্যও এই ঈদের রয়েছে আলাদা ধর্মীয় গুরুত্ব। মাত্র দুই মাস আগেই দেশ থেকে এসেছি। আর আগামী মাসের ১৬ তারিখ থেকে সেমিস্টার ফাইনাল। এবার ছুটি একেবারেই কম। মাত্র ১১ দিনের। পরিবহন খরচও অনেক বেশি। মূলত সেমিস্টার, পরিবহন খরচ আর কম ছুটি হওয়ার কারণেই এবার বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না।’
পরিবার ছাড়া ঈদ খারাপ লাগার মতোই বলছিলেন আলম। তিনি বলেন, ‘পরিবারের ছাড়া ঈদ খারাপ লাগে, কিন্তু এটা আমাদের ম্যানেজ করতে হবে। কিছুই করার নেই।’
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া আরেক নেপালী শিক্ষার্থী রবি কুমার যাদব বলেন, ‘১১ দিনের ছুটিতে যেতে আর আসতে সময় লাগবে প্রায় তিন থেকে চারদিন। আমরা সড়কপথে নেপালে যাতায়াত করি। এতে করে খরচ কম হয়। তাছাড়া বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল শুরুর কথা রয়েছে ১৬ জুলাই থেকে। যেহেতু বাংলা বলায় আমি এখনো অভ্যস্ত না তাই ক্লাস লেকচারের সাথে এতটা মানিয়ে নিতে পারিনি। নেপালী সিনিয়র ভাইদের কাছে শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা প্রস্তুতি শেষ করব হলে থেকেই।’
বাড়ি ফেরার আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত নাড়ীর টান বাদ দিয়ে আগামী সেমিস্টারের ফোকাস করতে চাই।’
উল্লেখ্য, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র তিনজন বিদেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। আর এ তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং নেপাল থেকে এসেছেন।


