কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অধ্যয়নরত চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের আঞ্চলিক সংগঠন চট্টগ্রাম স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের জন্য নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মিশকাত এর সভাপতিত্বে লোকপ্রশাসন ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্বীপ চৌধুরী এবং গণিত ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজবাহুল জান্নাহ’র সঞ্চালনায় প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ্, প্রধান আলোচক এ এস পি কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, এস এম আতিক উল্লাহ্ এবং ড. তুন্তু চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও প্রবীণদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানান চলমান ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এরপর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নবীন এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীরা এবং অতিথিবৃন্দ।
মধ্যাহ্নভোজের পর অনুষ্ঠানটির বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে এক মনোরম সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাথে জড়িত সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয় নিয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ্ বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্বিদ্যালয়ের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংগঠন চট্টগ্রাম স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’র এত বৃহৎ, সুশৃঙ্খল এবং মনোরম আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সফলতার পদচিহ্ন রেখে যাচ্ছে। নিজেদের দক্ষতাকে শাণিত করতে শিক্ষার্থীরা সংগঠনে যুক্ত হবে, তবে তার পাশাপাশি একাডেমিক পড়াশোনা ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের এই সুন্দর আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মিশকাত বলেন, ‘চট্টগ্রাম স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সর্বদা চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে। আজকের এই অনুষ্ঠানে যেসব অতিথি উপস্থিত ছিলেন তারা মূলত আমাদের অভিভাবক। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এত সুন্দর আয়োজন করা কখনোই সম্ভব ছিল না। পাশাপাশি নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’


