আমের মৌসুম আসলেই সারাদেশের মানুষের নিকট রাজশাহীর আমের অন্যরকম চাহিদা থাকে। মৌসুমে রাজশাহী থেকে অনলাইনে অনেকেই রাজশাহীর আম বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু ক্রেতারা নিরাপদ-মানসম্পন্ন আম কিনতে গিয়ে পড়েন নানা দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে। কোথা থেকে আম কিনলে শতভাগ নিরাপদ আম পাওয়া যাবে, কষ্টের টাকায় আম কিনব ভালো আম কার নিকট পাব, ক্রেতাদের এমন অজস্র চিন্তার কথা মাথায় নিয়ে ভেজালমুক্ত আম সরবরাহের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরাসরি বাগান থেকে সংগৃহীত আম সরবরাহ শুরু করেছিলেন রাজশাহীর বাসিন্দা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ জাহিদ হাসান।
এখন তিনি কাজ করছেন রাজশাহীর উৎপাদিত খাঁটি খেজুরের গুড় নিয়ে। ইতিমধ্যে আমের মতো খেজুরের গুড়েও আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন রাজশাহীর উৎপাদিত গুড়।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে নিরাপদ পণ্যের বিষয়টি বরাবরই মাথায় ছিল তার। সততা, মেধা ও পরিশ্রমকে পুঁজি করে ২০১৬ সালে তিনি শুরু করেছিলেন অনলাইন আমের ব্যবসা। শুরুতেই ক্রেতাদের আস্থার জায়গা দখল করেন। সেই আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে এখন তিনি খেজুরের গুড় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত বছরের তুলনায় এবার কয়েকগুণ বেড়েছে তার ক্রেতার সংখ্যা।

কৃষিবিদ জাহিদ হাসান বলেন, আমি রাজশাহীর সন্তান এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমার একটাই লক্ষ্য সবসময় ছিল আমি যেন সততার সঙ্গে শতভাগ ভেজালমুক্ত কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে পারি। গুড়ের সিজনে বাড়িতে থেকে আমি নিজেই গুড় উৎপাদনের সকল বিষয় তদারকি করি। আমার দ্বারা মানুষ যাতে কোনোপ্রকার প্রতারণার শিকার না হয় সে বিষয়টি সবসময়ই মাথায় রেখেছি। ক্রেতারা আম কিংবা খেজুর গুড় পেয়ে টাকা দিয়েছে। জনপ্রিয়তা এভাবেই বেড়েছে আমার। ক্রেতাদের মন জয় করতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয়। আমার বাসা গ্রামে হওয়ার কারণে ক্রেতাদের ভালো আম ও খেজুরের দিতে পেরেছি। আমি চেষ্টা করছি ক্রেতাদের মন জয় করার। আরো ভালো সেবা কিভাবে দিতে পারি সেটা নিয়েও আমি প্রতিনিয়ত ভেবে থাকি।
সংবাদ লাইভ/অনান্য


