উপ-নির্বাচনে পরাজিত হলেও আফসোস থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় বের হয়ে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। আমি নির্বাচন করছি বলেই মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে। তাদের এমন ভালোবাসা ও প্রতিশ্রতি পেয়ে আমি আপ্লুত।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়ার শহরের সাতমাথায় এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
উপ-নির্বাচনে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চেয়ে হিরো আলম বলেন, ‘এতদিন তো ভোটাররা ভালো মানুষ, শিক্ষিত মানুষ কিংবা গুন্ডাদের ভোট দিয়েছেন। এবার না হয় আমার মতো পাগল-ছাগলকে ভোট দিয়ে দেখুক। তারপর আমি কি করতে পারি সেটাও জনগণ দেখতে পাবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের মাঠে এবার শক্ত অবস্থান তৈরী করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। গতবার আমার সমর্থকদের সংখ্যা কম ছিল। সেজন্য আমাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে অনেকেই। তবে এবার সে সুযোগ দেব না বলেও প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের হুশিয়ারী দেন এই সংসদ সদস্য প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, পহেলা ফ্রেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে শূন্য দুই আসনেই সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এ নির্বাচনে একতারা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন হিরো আলম।
এর আগে নির্বাচনী হলফনামায় ত্রুটি থাকায় তার প্রার্থীতা বাতিল করেছিল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তবে প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। কিন্তু সেখানেও তার প্রার্থীতা বাতিল বহাল রাখা হয়। পরে আইনজীবীর সহায়তায় উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীরা ফিরে পান তিনি।
এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে প্রতীক বরাদ্দ পান হিরো আলম। সেখানে তাকে সিংহর বদলে একতারা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এ প্রতীক নিয়েই এখন মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন এই প্রার্থী।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিংহ প্রতীক নিয়ে বগুড়া-৪ আসনে নির্বাচন করেন হিরো আলম। সেসময় ৬২৮ ভোট পেয়েছিলেন তিনি।


