ইয়ুথনেট কুমিল্লা এবং ডিসি অফিস কুমিল্লার যৌথ আয়োজনে ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহযোগিতায় ‘ইমপাওয়ারিং দ্যা নেক্সট জেনারেশন থ্রো ক্লাইমেট এডুকেশন’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষক মাহাদী হাসানে সঞ্চালনায় কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজ, কোটবাড়িতে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইয়ুথনেট সদস্যদেরকে তিনটি টিমে ভাগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।এরপর অনুষ্ঠান শেষে তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি ডিরেক্টর এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রাশেদুল ইসলাম শেখ বলেন, জলবায়ুর সুবিচার নিশ্চিতে বিশ্বে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছে। ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এই সংগঠনগুলো পরিবেশ ও জলবায়ু শিক্ষা নিয়ে নিয়ে কাজ করে। আমাদের ইয়ুথদেরকে আরো বেশি জলবায়ু সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো বেশি সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। জলবায়ু, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সাথে সমন্বয় করে আমাদের ইয়ুথনেটকে কাজ করতে হবে।’
ইয়ুথনেট কুমিল্লার জেলা সমন্বয়ক মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ‘জলবায়ুর সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করি। ইয়ুথনেট কুমিল্লা একটি জলবায়ু সহনশীল ও সমতার বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখায়। যেখানে জলবায়ুর সুবিচার আদায়ের যুদ্ধে তরুণরা ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হবে। আমরা ইয়ুথদেরকে স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন জায়গায় ক্যাইম্পেইন করে জলবায়ুর সুবিচার নিশ্চিতে ভুমিকা রাখতে পারে এমনভাবে তৈরি করতেছি।’
এছাড়াও তিনি কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সকল পরিবেশ ও জলবায়ু প্রোগ্রামে ইয়ুথনেট কুমিল্লার তরুণদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং ইয়ুথনেট কুমিল্লার সকল আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং অনুষ্ঠানের চেয়ারপারসন ড. মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ কিন্তু শুধুমাত্র একটা রাষ্ট্রীয় সমস্যা না। এটা বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। আমাদের ক্লাইমেট চেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের তরুনদের এটার দায়িত্ব নিতে হবে। ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একটা পূর্ব-প্রস্তুতি হচ্ছে এই ক্লাইমেট চেঞ্জের মোকাবেলা করা। সোনার বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য আমাদের ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে।’
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ক্যামব্রিয়ান কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমিনুর রহমান, ইয়ুথনেট প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এস. জেট. অপুসহ ইয়ুথনেট কুমিল্লা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা।


