ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জনকল্যাণমূলক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠন তারুণ্য’র বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের জন্য নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুরসালিন ইসলাম তুরাণ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন একই বর্ষের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ হিমেল।
আজ রবিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ১১৬ নং কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়াও তারুণ্যের বিগত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সংগঠনটির বর্তমান সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নব নির্বাচিত সভাপতি মুরসালিন ইসলাম তুরাণ বলেন,“আসলে এই মুহূর্তে বসে অনুভূতি প্রকাশ করা কঠিন। তারুণ্যকে কি দিতে পেরেছি জানি না, তবে তারুণ্য আমাকে অনেক বেশি দিয়েছে। সকলের ভালোবাসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।”
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ হিমেল বলেন,“আনন্দ লাগছে নিবার্চিত হতে পেরে। আবার ভয়ও লাগছে এতো বড় দায়িত্ব পেয়েছি। তবে আপনারা যেহেতু ভরসা রেখেছেন, ভরসা করে ভোট দিয়েছেন, আশা করি সেটা আমার জায়গা থেকে পালন করতে পারবো।”
সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন,“আমি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে বিশ্বাস করতে পারিনি। আজ পদত্যাগ করছি। তবুও তারুণ্যের স্মৃতিগুলো একই জায়গায় থেকে গেছে। বিগত সময়গুলোতে সকলে একযোগে কাজ করেছেন। সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। ভবিষ্যতেও যেন এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকে সেজন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তারুণ্য কাউকে বিদায় দেয়না। একসময় সবাই সুবাসিত হয়ে যায়, সুবাসিত করে রাখা হয়। আপনারা ভবিষ্যতে সুন্দর স্মৃতির সাক্ষী হবেন। তারুণ্যের যে সুনাম, সম্মান রয়েছে — সেটা ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করবেন। যে যে পদেই থাকুন না কেন, তারুণ্য আপনাদের সবার। নতুনদের জন্য শুভকামনা। ভবিষ্যতেও যেন তারুণ্যের এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকে সেটাই প্রত্যাশা।”
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। তারুণ্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখেছি। টোটাল আয়ের হিসাব দেখলে বোঝা যাবে, তারুণ্য অনেক এক্টিভ। সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, ‘অবারিত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্ৰত তারুণ্য’ — এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৯ সাল থেকে তারুণ্য কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি, নেতৃত্বদানের প্রশিক্ষণ, রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার সময়ে ত্রাণ কর্মসূচি প্রভৃতি সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। সংগঠনটি সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিবছর নির্বাচনের আয়োজন করে থাকে।


