বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশীপ কার্যক্রম শেষ হওয়ার ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এখনো ভাতার অর্থ হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইন্টার্নশীপ কার্যক্রম শেষ হয়।
চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রমের অংশস্বরূপ চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল দুইমাস ব্যাপী ইন্টার্নশীপ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী কর্ম পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে শিক্ষার্থীরা দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশীপের সুযোগ পায় । যেহেতু ইন্টার্নশিপ চলাকালীন সময় একজন শিক্ষার্থীর অন্য কোন আয়ের উৎস হতে নিজের যাবতীয় খরচ উপার্জনের সুযোগ পায় না তাই প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ, ভাতা স্বরূপ প্রদান করা হয়। প্রতিবছর এ অর্থ যথাসময়ে প্রদান করা হলেও এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। চূড়ান্ত সেমিস্টারের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা সহ ইন্টার্নশীপ পরবর্তী সকল একাডেমিক কার্যক্রম এমনকি কম্প্রিহেনসিভ ভাইবা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট শেষ হলেও এখনো ইন্টার্নশীপ ভাতার অর্থ হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও প্রতি সেমিস্টারের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রতি ডিপার্টমেন্ট হতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। তবে এক্ষেত্রেও ব্যপ্তয় লক্ষ করা যায়। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ৪৪ তম ব্যাচের লেভেল-৪, টার্ম-১ এর পরীক্ষা শেষ হয়। যার ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ৯ এপ্রিল। তবে শিক্ষার্থীদের এখনো বৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়নি।
৪৪ তম ব্যাচের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, শেষ সেমিস্টারে একজন শিক্ষার্থীকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এবং প্রজেক্ট বাবদ নানা ব্যয় বহন করতে হয়, এক্ষেত্রে ইন্টার্নশীপ ভাতা কিংবা বৃত্তির প্রাপ্ত অর্থ আমাদের বাড়তি আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও লাঘব করতে সহায়ক হয়। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম অবহেলার ফল যে আমাদের সকল একাডেমিক কার্যক্রম শেষ হলেও আমরা এখনো ইন্টার্নশীপের ভাতা কিংবা বৃত্তির টাকা কোনোটিই হাতে পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে বারবার অবগত করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। একই ব্যাচের টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আরেকজন শিক্ষার্থী ইজাজ মাহমুদ বলেন, বুটেক্সে বরাবরই প্রতি ব্যাচের ইন্টার্নশীপের ভাতা প্রদানে বিলম্ব লক্ষ করা যায়, তবে আমাদের ব্যাচের ক্ষেত্রে সকল একাডেমিক কার্যক্রম শেষ হলেও এখনো সে অর্থ না পাওয়ার ব্যাপারটি দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে শীঘ্রই কোনো পদক্ষেপ নিবে আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টস সেকশনে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার পরেও কোনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের ভাষ্যমতে, তারা এখনো কোনো ধরনের বিল অথবা বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের লিস্ট পাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার শরিফুর রহমানকে এ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যকে এ বিষয়ে অবগত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের অর্থ প্রদান করবে বলে আশ্বস্ত করেন।


